মোস্তাফিজের খরুচে বোলিংয়ের দিনে চেন্নাইর নায়ক পাথিরানা

পাথিরানার বলে দারুণ এক ক্যাচ নেওয়ার পর মোস্তাফিজের সঙ্গে ধোনির উদযাপন

রতুরাজ গায়কোয়াড়, শিভম দুবের ঝড়ো ফিফটির পর শেষ দিকে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন মাহেন্দ্র সিং ধোনির। চেন্নাই সুপার কিংসের দুইশো ছাড়ানো পুঁজি তবু শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তবে বাকিদের থামিয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেন্নাইর নায়ক শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা। এই ম্যাচে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ১ উইকেট পেলেও ভীষণ খরুচে ছিলেন তিনি।

রোববার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুই জায়ান্ট দলের লড়াইয়ে ২০ রানে জিতেছে মোস্তাফিজের চেন্নাই। আগে ব্যাট করে ২০৬ রান করা চেন্নাই পাথিরানার তোপে মুম্বাইকে আটকে রাখে ১৮৬ রানে। চেন্নাইকে জিতিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন পাথিরানা। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে দেন ৫৫ রান। মুম্বাইর হয়ে ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকলেও রোহিত মাঠ ছেড়েছেন হতাশা মুখে। 

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই রোহিতের হাতে বাউন্ডারি হজম করেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে দেন ৮ রান। পঞ্চম ওভার আবার তাকে আক্রমণে আনা হয়। এবার বাঁহাতি পেসারের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কায় উড়ান রোহিত, শেষ বলে কাভার দিয়ে চার বের করেন ইশান কিশানও।

৮ম ওভারে মাতিশা পাথিরানা এসে খেলায় ফেরান চেন্নাইকে। ইশানের পর আউট করেন সূর্যকুমার যাদবকেও। সূর্যকুমারের মারা আপার কাট থার্ড ম্যানে দারুণ দক্ষতায় মুঠোয় জমান মোস্তাফিজ।

মোস্তাফি্জ আবার যখন বল করতে আসেন তখন ২৪ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের জিততে দরকার ৭২ রান। এরমধ্যে পাথিরানা বিপদজনক তিলক বর্মার উইকেটও নিয়ে নিয়েছেন। প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া বাস্তবতায় মোস্তাফিজের প্রথম বলে ছক্কায় উড়ান টিম ডেভিড, পরের বল হয় ওয়াইড, বৈধ দ্বিতীয় বলে আবার ছক্কা মারেন ডেভিড। তৃতীয় বলে আরেক ছক্কার চেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে তিনি ধরা দেন।

পরের তিন বলে আরও  ৬ রান দেন বাংলাদেশের তারকা। তার করা তৃতীয় ওভার থেকে ১৯ নেয় মুম্বাই। নিজের শেষ ওভারে এক ছক্কায় আরও ১৩ দেন তিনি। ৪ ওভারের স্পেলে তার ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-৫৫-১!

মোস্তাফিজ এমন খরুচে থাকলেও পাথিরানা এদিন ছিলেন অনন্য। স্লিঙ্গি অ্যাকশন দিয়ে একের পর এক ইয়র্কারে ব্যাটারদের রুদ্ধ করে দেন তিনি।

এর আগে টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে দিয়ে ভালো শুরু পায় মুম্বাই। দ্বিতীয় ওভারে জেরল্ড কোয়ের্তজি তুলে নেন আজিঙ্কা রাহানেকে। তবে অধিনায়ক রতুরাজ রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে পেয়ে যান ৫২ রানের জুটি। রাচিন ২১ করে ফিরলেও টেনে নেন রতুরাজ। শিভম দুবেকে পেয়ে আনেন ৯০ রানের আরেক জুটি। ৪০ বলে ৬৯ করে রতুরাজ ফিরলেও দুবে আবার তুলেন ঝড়। মাত্র ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তবে চেন্নাইর রান দুইশো ছাড়ানোর নায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। হার্দিক পান্ডিয়ার করা শেষ ওভারে ক্রিজে এসে মাত্র ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ যোগ করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস হয়েছে ভাইটাল। চেন্নাই যে জিতেছে ওই ২০ রানেই।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago