পুরো দল মিলে কামিন্দু-ধনঞ্জয়ার চেয়ে কম রান, অজুহাত দিচ্ছেন না শান্ত

Najmul Hossain Shanto

কামিন্দু মেন্ডিস আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা মিলে চার সেঞ্চুরিতে করলেন ৪৭৬ রান। সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কান এই দুই ব্যাটারের মোট রানের অনেক পেছনে থাকল বাংলাদেশের দলের সম্মিলিত রান। এতে বোঝা যাচ্ছে কতটা অসহায় অবস্থা ছিলো বাংলাদেশের। একপেশে লড়াইয়ে বিশাল হারের পর ব্যর্থতা মেনে অজুহাত দেওয়ার দিকে গেলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সোমবার লাঞ্চ বিরতির খানিক পরই শেষ হয়ে যায় প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশ বিধ্বস্ত হয় ৩২৮ রানে। পুরস্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিকতা সেরেই চট করে সংবাদ সম্মেলনে ছুটে আসেন শান্ত। বিমর্ষ চেহারায় অধিনায়কের কণ্ঠে ছিলো না জোর।

সিলেটের উইকেটে নতুন বলে পেসাররা সুবিধা পেলেও ব্যাটারদের জন্যও তা ছিলো আদর্শ। থিতু হতে পারলে যে অনায়াসে বড় রান করা যায় দেখিয়েছেন কামিন্দু-ধনঞ্জয়া। দুজনেই দুই ইনিংসে করেন সেঞ্চুরি। তারা দুজনে মিলে পুরো টেস্টে করেন ৪৭৬ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ৩৭০ রান।

লড়াইবিহীন হারে তাই স্বাভাবিকভাবে উঠেছে প্রশ্ন। কেন এত বাজেভাবে হারল বাংলাদেশ, ব্যাখ্যা দিতে এসে ব্যাটিংকেই দায় দিয়েছেন তিনি,  'বড় রানের হোক আর ছোট রানের হোক, হার তো হার। ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন না। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচ ভালো করব।'

শান্তর মতে পরের টেস্টের আগে তারা কীভাবে চিন্তা করছেন, কীভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তা হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ, 'আমরা যেভাবে ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি, কীভাবে চিন্তা করছি এটা গুরুত্বপূর্ণ।  এই ম্যাচটা খারাপ গেছে। সব দিক থেকেই দল হিসেবে আমরা ভালো খেলিনি। আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু নিতে পারিনি। পরের ম্যাচে কীভাবে আরও প্রস্তুত হয়ে আসছি, ছোট ছোট ভুল যেন না করি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago