লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স নিয়ে সংশয় নেই, প্রত্যাশা আছে নির্বাচকদের

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে লিটন দাসকে বাদ দেওয়ার পর যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, সেই ব্যাখ্যাই তৈরি করে ফেলে কতগুলো সংশয়ের। তবে প্রশ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে জানা গেছে, টি-টোয়েন্টিতে ঠিকই বিবেচিত হবেন গত তিন বছর ধরে কুড়ি ওভারের সফলতম ব্যাটার। 

শনিবার দুপুরে লিটনকে বাদ দিয়ে বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বক্তব্য ছিলো, 'সাদা বলে লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'নতুন বলে অধারাবাহিকতায় তারা এমন পথে হাঁটছেন।' সাদা বল নাকি নতুন বল এই দ্বিধা কাটাতে প্রধান নির্বাচককের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সাদা বলই তিনি বলতে চেয়েছেন তবে সেটা কেবল সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের জন্য। আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভোগা ব্যাটারকে শেষ ম্যাচ খেলাতে চাননি তারা। তবে এর মানে এই নয় যে তিনি সাদা বলের দুই সংস্করণ থেকেই বাদ হয়ে গেলেন। 

লিটনের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের নিয়ে আসলে সংশয় নেই নির্বাচকদের। মে মাসে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিকই বিবেচিত হবেন তিনি। তবে এই সংস্করণে যেকোনো ব্যাটারের মতই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশা থাকবে তার উপর। 

গত ১০ ওয়ানডেতে ফিফটি না পাওয়া, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আপাতত জায়গা হারানো লিটনের টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স আলাদা। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে তিনি লম্বা সময় ধরেই দলের মূল ত্রাতা। 

সর্বশেষ ১০টা টি-টোয়েন্টিতে ৩৮.৩৩ গড় আর ১৩৮.৮২ স্ট্রাইক রেটে দলের সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান করেছেন লিটন। গত বছর যদি ধরা হয় ৯ ম্যাচে ৪০.৩৭ গড়, ১৩৭.৪৪ স্ট্রাইকরেটে দলের সর্বোচ্চ ৩২৩। গত এক বছর তো বটেই গত তিন বছর ধরেই টি-টোয়েন্টিতে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার। ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ, হারায় আফগানিস্তানকে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ করে ড্র। সবগুলোতেই লিটনের ছিলো বড় অবদান। 

প্রধান নির্বাচক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা কেবল ওয়ানডে সংস্করণ ও এক ম্যাচের দল যেটা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। যখন টেস্ট দল ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করা হবে তখন সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।' টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে শুধু লিটন নয়, দলের সবার কাছ থেকেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স চায় নতুন নির্বাচক কমিটি। 

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

1h ago