হৃদয়ের সঙ্গে জুটিকে নিজের জীবনের সেরা বললেন লিটন
১৮৬ রানের লক্ষ্যে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু দুর্দান্ত এক জুটিতে সব চাপ উড়িয়ে দেন তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাস। এই দুজন তাণ্ডবে ৯ বল আগেই রংপুর রাইডার্সকে হারায় কুমিল্লা। ম্যাচ শেষে হৃদয় সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটিকে নিজের জীবনের সেরা বলে আখ্যা দিলেন লিটন।
সোমবার বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মনে হয়েছিল লড়াই হবে তুমুল। কিন্তু হৃদয়-লিটন মিলে তা হতে দেননি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে ৮৯ বলে যোগ করেন ১৪৩ রান।
যাতে ৪৩ বলে ৬৪ হৃদয়ের, ৪৬ বলে ৬৫ লিটনের। হৃদয় আউট হওয়ার পর দলকে জেতার কাছে নিয়ে ৫৭ বলে ৮৩ রান করে ম্যাচ সেরাও হন কুমিল্লা অধিনায়ক।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন জানান টি-টোয়েন্টিতে কোন সঙ্গীর সঙ্গে এটাই তার জীবনের সেরা, 'অসাধারণ, আমার জীবনের তো সেরা। এরকম কখনো হয়নি সঙ্গীর সঙ্গে এমন ব্যাট করেছি (টি-টোয়েন্টিতে)। আমার মনে পড়ে না। যেভাবে সে (হৃদয়) ব্যাট করেছে অ্যামেইজিং। নন স্ট্রাইকিং থেকে দেখে ভালো লাগছিল। তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একজন সঙ্গীর কাজ হচ্ছে আরেকজন সঙ্গীকে নির্ভার করে দেওয়া। সে আমাকে নির্ভার করে দিয়েছে বাকিটা খেলার জন্য। '
জুটিতে বেশিরভাগ সময় অগ্রণী ছিলেন হৃদয়। শুরুতে নীরব ছিলো লিটনের ব্যাট, এক পর্যায়ে ২৪ বলে তার রান ছিল ২৫। আরেক পাশে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন হৃদয়। কব্জির ব্যাবহার খেলতে থাকেন দুর্দান্ত সব শট, তার মারা চার ছক্কা গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পরে লিটনও ডানা মেলেন প্রবলভাবে। ৩৮ বলে ফিফটির পর হৃদয়কে স্পর্শ করে ফেলেন দ্রুত। তিনিও মেরেছেন ৪টি ছয়।
কুমিল্লার দলে আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, জনসন চার্লসের মতন তারকারা আছেন। তাদের ছাপিয়ে বাংলাদেশের দুজন নিজেদের মেলে ধরতে পারা আলাদা তৃপ্তি দিচ্ছে লিটনকে, 'সাধারণত আমরা এত বড় বড় রান তাড়া করি না। ওইদিক থেকে অন্যতম সেরা বলতে পারেন। যেহেতু দুটোই বাঙালি, দুটোই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আশা করি এভাবে চালিয়ে যেতে পারব।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্য সঙ্গীর সঙ্গে অনেকগুলো বড় জুটি আছে লিটনের। তার একটি ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে সাকিবের সঙ্গে ম্যাচ জেতানোর জুটি। এই তারকা ব্যাটার পরে এক প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য পরিষ্কার করেছেন হৃদয়ের সঙ্গে জুটিটা টি-টোয়েন্টিতে তার সেরা, 'ওটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ। ওটা আমার জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলা। ওটাও অন্যতম সেরা, ওটা অন্যরকম ছিলো সাকিব ভাইর সঙ্গে। এটা আলাদা। ফরম্যাটটা ভিন্ন তো এজন্য আমি টি-টোয়েন্টিতে সঙ্গীসহ এমন ইনিংস আমি খেলিনি। '
Comments