নান্নু-বাশারের বিদায়, চমক হিসেবে প্রধান নির্বাচক লিপু

গত ডিসেম্বরেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর।

গত ডিসেম্বরেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর। তার না থাকা অনেকটা অনুমিত ছিলো। তবে তার বদলে অনেকটা চমক হিসেবে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। এক সময় ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদে ছিলেন তিনি, দায়িত্ব পালন করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে মতন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যে বিভাগের অধীনেই কাজ করে নির্বাচক কমিটি। 

নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে হাবিবুল বাশার সুমনকেও। তবে টিকে গেছেন খান আব্দুর রাজ্জাক। নতুন নির্বাচক প্যানেলে থাকছেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হান্নান সরকার। এতোদিন যুবাদের নির্বাচক হিসেবে ছিলেন তিনি।

সোমবার অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির কার্য নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যে আমাদের জাতীয় নির্বাচক কে হবেন, প্রধান নির্বাচক। এটা নিয়েই সময় বেশি লেগেছে। অনেক কিছু বিবেচনা করে আমরা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে আমরা নির্বাচিত করেছি।'

'এখানে আরও দুইজন আছে। একজন আমাদের খান আব্দুর রাজ্জাক। আরেকজন হান্নান সরকার। এই দুইজনকেও নির্বাচিত করা হয়েছে,' লিপু সহকারীদের নাম ঘোষণা করে আরও বলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।

মোস্তাফা কামালের নেতৃত্বাধীন বোর্ডে পরিচালক হিসেবে থাকা লিপু বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, গেম ডেভোলাপমেন্টের মতন বিভাগও সামলেছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক হিসেবে তালিকায় তার নাম দেখে তাই কোন সংশয় ছাড়াই বেছে নেওয়ার কথা জানান বিসিবি প্রধান, 'যে কয়টা নাম এসেছে আমাদের কাছে। এদের মধ্যে উনার নাম দেখার পরে খুব একটা চয়েস আমাদের ছিলো না। আমাদের মনে হয়েছে উনি যদি আসতে রাজী হন, আমরা মনে করেছি হি ইজ দ্য বেস্ট। এটা নিয়ে খুব একটা তর্ক হয়নি। যখন নিশ্চয়তা পেলাম উনি আছেন তখনই চূড়ান্ত করে ফেলেছি।'

২০১১ সালে নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পান মিনহাজুল। ২০১৬ সালে তাকে করা হয় প্রধান নির্বাচক, তখন নির্বাচক কমিটিতে ঢুকেন হাবিবুল। এরপর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করছিলেন তারা। 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago