কোচকে টপকে ছক্কার রেকর্ড এখন রিজওয়ানের একার
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ছক্কা মেরে রানের খাতা খুললেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুর দারুণ কিছুর আভাস অবশ্য মিলিয়ে গেল দ্রুতই। তবে ওই একটি ছক্কাতেই সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে আরোহণ করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড এখন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের একার।
রোববার হ্যামিল্টনে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের হারের দিনে রিজওয়ান গড়েন নতুন কীর্তি। পাকিস্তানের হয়ে ৮৭ ম্যাচের ৭৫ ইনিংসে তার ছক্কার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭। এতে পেছনে পড়ে গেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। জাতীয় দলে খেলা ১১৯ ম্যাচের ১০৮ ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৭৬ ছয়। চলতি সফরে তিনি আছেন প্রধান কোচ ও টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায়।
সম্ভাব্য সেরা উপায়ে ইনিংস শুরু করা রিজওয়ান থামেন ৭ রানে। মোকাবিলা করেন ৫ বল। পাকিস্তানের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাকে দুর্দান্ত এক বলে থামান পেসার আডাম মিল্ন। ব্যাক অব অ্যা লেংথ ডেলিভারিতে আউটসাইড এজ হয়ে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সেটা গ্লাভসে লুফে নিতে ভুল করেননি ডেভন কনওয়ে।
পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায় তিনে আছেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি ৯৮ ম্যাচের ৯০ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭৩ ছক্কা। শোয়েব মালিক ১২৩ ম্যাচের ১১০ ইনিংসে ৬৯ ছক্কা নিয়ে আছেন চারে। পাঁচে অবস্থান করা বাবর আজমের ১০৬ ম্যাচের ১০০ ইনিংসে রয়েছে ৫৭ ছয়।
টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। সেডন পার্কে সফরকারীরা হেরেছে ২১ রানে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে ১৯৪ রানের জবাবে তারা ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ১৭৩ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ফিন অ্যালেন। ৪১ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন স্বাগতিক ওপেনার।
বিফলে যায় বাবর ও ফখর জামানের হাফসেঞ্চুরি। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৮৭ রানের জুটির বাইরে উল্লেখযোগ্য আর কোনো জুটি পায়নি পাকিস্তান। বাবর ৪৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬৬ রান। ৩ চার ও ৫ ছয়ে ফখরের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন মিল্ন।
Comments