সৌম্যের দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে যা বললেন এনামুল
বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া সৌম্য সরকার দলে ফিরে অলরাউন্ড সক্ষমতার বিচারে জায়গা পেলেন একাদশে। এটা অনুমিতই ছিল। চোটের কারণে সাকিব আল হাসান না থাকায় ম্যাচের আগে তার ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলেন সৌম্য।
রোববার সকালে ডানেডিনে বৃষ্টির কারণে দফায় দফায় বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ হেরেছে ৪৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই নিয়ে ১৭ ওয়ানডে খেলে জয়হীনই রইল টাইগাররা। তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে পড়ার দিনটি ৩০ বছর বয়সী সৌম্যের জন্য এমন ভয়ঙ্কর ছিল, যা তিনি হয়তো ভুলে যেতেই চাইবেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মতো কিছু না করায় সৌম্যের জাতীয় দলে ফেরার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনা শুরু হয় স্কোয়াড ঘোষণার দিনেই। সেসময় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছিলেন, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় প্রাধান্য মিলেছে সৌম্যের। পাশাপাশি উল্লেখ করেছিলেন তার অলরাউন্ড সামর্থ্যের কথা। কিন্তু ইউনিভার্সিটি ওভালে কিউইদের বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— তিন বিভাগেই চরম হতাশ করেন সৌম্য।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যের দলে ফেরা ও হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন যায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা এনামুল হক বিজয়ের কাছে। ডানহাতি ওপেনার জবাব দেন, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়, 'কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে আরেক খেলোয়াড়ের মন্তব্য করা কোনোভাবেই আসে না। আমি মনে করি, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে।'
বাজে সময় পার করতে থাকা সতীর্থকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি, 'আর একজন সতীর্থকে আমরা সমর্থন করব, এটা একদম ভেতর থেকে আসে। যে খেলোয়াড়ই দলে আসুক না কেন, আমাদের বাকিরা তাকে শতভাগ সমর্থন করবে। কে দলে আসবে বা আসবে না, সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে যখন আমরা একসঙ্গে খেলব, আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিটা খেলোয়াড়কে সমর্থন করা।'
বোলিংয়ে ৬ ওভারে ৬৩ রান দেন সৌম্য। যদিও তিনি স্পেশালিস্ট বোলার নন, তার মিডিয়াম পেসে লাইন-লেংথের ঘাটতির পাশাপাশি ছিল পরিকল্পনার অভাব। এরপর ব্যাট হাতেও পুষিয়ে দিতে পারেননি। জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে স্লিপে দেন ক্যাচ। ৪ বল খেলে রানের খাতা খোলা হয়নি তার। ওয়ানডেতে সবশেষ পাঁচ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ডাক।
ফিল্ডিংয়েও সৌম্যের দশা ছিল বেহাল। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের দশম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ছাড়েন টম ল্যাথামের ক্যাচ। কিউই দলনেতা তখন ছিলেন মাত্র ১৮ রানে। পরে আগ্রাসী ইনিংস খেলে তিনি থামেন ৭৭ বলে ৯২ করে। উইল ইয়াংয়ের সঙ্গে ল্যাথামের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১৪৫ বলে ১৭১ রান।
Comments