বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

এমন অবস্থাতেও হাল ছাড়ছে না নিউজিল্যান্ড 

বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ উইকেটে ১১৩ রান তুলে শুক্রবার চতুর্থ দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। সিলেট টেস্ট জিততে তাই স্রেফ ৩ উইকেট চাই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।  আর নিউজিল্যান্ডের? তাদের রীতিমতো ডিঙাতে হবে মেঘালয় পাহাড়ের উচ্চতা।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

আরও কয়েক ওভার খেলা হলে ম্যাচ চতুর্থ দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারত। সেটা না হলেও এই ম্যাচের আয়ু আর কত দূর? অবিশ্বাস্য কোন নাটকীয়তা না হলে পঞ্চম দিনে সকালের সেশনেই জিতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে চরম কোণঠাসা পরিস্থিতিতে থেকেও হাল ছাড়ছে না নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে কথা বলতে এসে এজাজ প্যাটেল জানালেন, এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আছেন তারা। 

বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ উইকেটে ১১৩ রান তুলে শুক্রবার চতুর্থ দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। সিলেট টেস্ট জিততে তাই স্রেফ ৩ উইকেট চাই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। 

আর নিউজিল্যান্ডের? তাদের রীতিমতো ডিঙাতে হবে মেঘালয় পাহাড়ের উচ্চতা। শেষ ৩ উইকেট নিয়ে যে তুলতে হবে ২১৯ রান! ম্যাচ বাঁচাতে হলেও খেলতে হবে পুরো দিন। পঞ্চম দিনের উইকেটে এমন সমীকরণ মেলানো প্রায় অসম্ভবই বলা চলে। 

নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারানোর সুবাস তাই তীব্রভাবে পাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সফরকারীদের প্রতিনিধি এজাজ জানালেন তারা শেষ হওয়ার আগে শেষ ভাবতে রাজী নন,  'অবশ্যই, আরো কিছু ব্যাটিং বাকি আছে। ডাজলার ( ড্যারেল মিচেল) এখনো আছে, যে কিনা আজ খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমরা জানি ইশ ব্যাট হাতে কতটা ভালো। আমার মনে হয় পুরোটা সময় লড়াই চালিয়ে যাব। কাল খুব আকর্ষণীয় দিন হতে যাচ্ছে। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাব, দেখা যাক কি হয়।'

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ৩১৭ করে কিউইরা, শান্তর সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ তুলে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেয় বাংলাদেশ। 

৩৩১ রানের লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জিং হলেও কিউইদের টপ অর্ডারের প্রচেষ্টা ছিলো নাজুক। নিজেদের কন্ডিশনের সঙ্গে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে না পেরে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন তারা। নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের জন্য হন্তারকের ভূমিকা নেন তাইজুল ইসলাম। 

১০২ রানে ৭ উইকেট হারালেও উইকেটে এমন কোন ভয়াল কিছু দেখছেন না এজাজ,  'সকালের দিকে উইকেটে তেমন কিছু ছিলো না। বেলা বাড়তে কিছুটা শুস্ক হয় এবং স্পিন ধরতে শুরু করে। পঞ্চম দিনে কেমন আচরণ করে উইকেট দেখার বিষয়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে নতুন বলে কিছু না কিছু হচ্ছিলো। বল পুরনো হলে নরম হয়ে যাচ্ছিলো, তখন এত বিষাক্ত হচ্ছিলো না।' 

'এটা খারাপ উইকেট না। আমার মনে হয় তাদের বোলাররা শৃঙ্খলা মেনে বল করেছে, ভালো জায়গায় বল ফেলেছে। আমাদেরকে কঠিন প্রশ্নের মধ্যে ফেলেছে লম্বা সময় ধরে। উপমহাদেশে স্পিন খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জের।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago