লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

পুঁজি খুব বড় ছিল না। ২৪৪ রানের। তবে তাই নিয়ে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন টাইগাররা। বিশেষ করে স্পিনারদের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু লক্ষ্য খুব বেশি দিতে না পারায় শেষ রক্ষা করতে পারেননি। রস টেইলরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডই। ২ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয় কিউইরা।
ছবি: রয়টার্স

পুঁজি খুব বড় ছিল না। ২৪৪ রানের। তবে তাই নিয়ে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন টাইগাররা। বিশেষ করে স্পিনারদের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু লক্ষ্য খুব বেশি দিতে না পারায় শেষ রক্ষা করতে পারেননি। রস টেইলরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ডই। ২ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয় কিউইরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.৪ ওভারে ২৪৪ (তামিম ২৪, সৌম্য ২৫, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৯, মিঠুন ২৬, মাহমুদউল্লাহ ২০, মোসাদ্দেক ১১, সাইফউদ্দিন ২৯, মিরাজ ৭, মাশরাফি ১, মোস্তাফিজ ০*; হেনরি ৪/৪৭, বোল্ট ২/৪৪, ফার্গুসন ১/৪০, গ্রান্ডহোম ১/৩৯, নিশাম ০/২৪, স্যান্টনার ১/৪১)।

নিউজিল্যান্ড: ৪৭.১ ওভারে ২৪৮/৮ (গাপটিল ২৫, মুনরো ২৪, উইলিয়ামসন ৪০, টেইলর ৮২, লাথাম ০, নিশাম ২৫, গ্রান্ডহোম ১৫, স্যান্টনার ১৭*, হেনরি ৬, ফার্গুসন ৪*; মাশরাফি ০/৩২, মিরাজ ২/৪৭, মোস্তাফিজ ২/৪৭, সাকিব ২/৪৭, সাইফউদ্দিন ২/৪১, মোসাদ্দেক ২/৩৩)।

ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড)।

হেনরিকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন

জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে আছে নিউজিল্যান্ড। সাবলীলভাবেই ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ডের লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তার আগে ম্যাচ জমিয়ে দিলেন সাইফউদ্দিন। ম্যাট হেনরিকে বোল্ড করে দিয়েছেন তিনি। তার হাই ফুলটস খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৮ বলে ৬ রান করেছেন হেনরি।

তবে সে ওভারের শেষটা ভালো করতে পারলেন না সাইফ। শেষ বলে দিয়েছেন বাউন্ডারি। এর আগে দিয়েছেন দুটি ওয়াইড। ৪৭ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৪ রান। জয় থেকে ১ রান দূরে আছে দলটি।  

নিশামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মোসাদ্দেক

আগের ওভারে গ্রান্ডহোমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু তারপরও টাইগারদের বড় বাধা হয়েছিলেন জেমস নিশাম। তবে সে বাধা পার করতে পেরেছে তারা। তাকে ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। চাপ কাটাতে গিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন নিশাম। তবে লংঅফে ধরা পড়েন সৌম্য সরকারের হাতে।

৪৪ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২০ রান।

গ্রান্ডহোমকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন

আরও একটি দারুণ ক্যাচ ধরেছেন মুশফিকুর রহিম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আপার কাট করে বাউন্ডারি আদায় করে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল কলিন গ্রান্ডহোমের। করেছিলেনও। তবে লাফিয়ে উঠে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন মুশফিক। দলীয় ২১৮ রানে গ্রান্ডহোম আউট হন কার্যকরী ১৫ রান করে।

৪৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৮ রান। জেমস নিশাম ব্যাট করছেন ২৫ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মিচেল স্যান্টনার।  

বিপজ্জনক টেইলরকে ফেরালেন মোসাদ্দেক

সহজ স্টাম্পিং মিস করেছেন, তবে দারুণ এক ক্যাচ ধরে সে ঘাটতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বিপজ্জনক রস টেইলরের ক্যাচ ধরেছেন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের লেগ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন টেইলর। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় মুশফিকের হাতে। ১৯১ রানে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট। ৯১ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮২ রান করেন টেইলর।

৩৯ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯২ রান। ১৬ রানে ব্যাট করছেন জেমস নিশাম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম।  

লাথামকে ফেরালেন মিরাজ

ওভারের প্রথম বলে জুটি ভেঙ্গেছিলেন মিরাজ। শেষ বলে টম লাথামকেও আউট করলেন তিনি। ফলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরেছে টাইগাররা। তার বলে পুল করতে গিয়েছিলেন লাথাম। ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে সামনে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ বল খেলে কোন রান নিতে পারেননি লাথাম।

৩২ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬২ রান। ৭০ রানে ব্যাট করছেন রস টেইলর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাথেন নেমেছেন জেমস নিশাম।

উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মিরাজ

ব্যক্তিগত ৭ রানে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ভুলে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসের উইকেটটি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তার খেসারৎ ভালো ভাবেই দিচ্ছে টাইগাররা। এরপর আরও ৩৩ রান করেছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা দলের ইনিংস মেরামত করে রস টেইলরের সঙ্গে গড়েছেন ১০৫ রানের জুটি।

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। মারে তেমন জোর না থাকায় মিড উইকেটে ধরা পড়েন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। ৭২ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। দলীয় ১৬০ রানে পড়ে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট। 

টেইলরের ফিফটি

শুরু থেকে নড়বড়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর তার ঠিক উল্টোটা রস টেইলর। শুরু থেকেই সাবলীল। দারুণ ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৪০ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

২৫ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৯ রান। ৫৪ রানে ব্যাট করছেন টেইলর। উইলিয়ামসন উইকেটে আছেন ৩৫ রানে।

উইলিয়ামসন-টেইলর জুটিতে পঞ্চাশ

উইলিয়ামসন ফিরে যেতে পারতেন ব্যক্তিগত ৭ রানে। টেইলর তখন সবে মাত্র নেমেছেন প্রায়। তবে এ দুই ব্যাটসম্যান টাইগারদের ভোগান্তি বাড়িয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। তৃতীয় ৫৪ বলেই আসে জুটির পঞ্চাশ রান। তাতে উইলিয়ামস্নের অবদান ২১ রান। বাকী ২৯ রান করেছেন টেইলর।

১৯ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১০ রান। টেইলর ৩৪ ও উইলিয়ামসন ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের ভুলে রানআউট হলেন না উইলিয়ানসন

প্রায় অপর প্রান্তেই চলে গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত। আর তাতেই জীবন পান কিউই অধিনায়ক। ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন তখন।

১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭ রান করেছে বাংলাদেশ। রস টেইলর ও উইলিয়ামসন উভয়েই ৯ রানে ব্যাট করছেন।

এবার মুনরোকেও ফেরালেন সাকিব

বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তাতেও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের রানের গতিতে লাগাম টানা যায়নি। কারণ অপর প্রান্তে সেট ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো তখন হাত খুলে ব্যাট চালানো শুরু করেছেন। এবার তাকেও ফেরালেন বিশ্ব সেরা এ অলরাউন্ডার। অবশ্য এ আউটে দারুণ অবদান রয়েছে মিরাজের। শর্ট মিড উইকেটে সামনের দিকে ঝুঁকে নিচু ক্যাচ লুফে নেন দারুণ দক্ষতায়। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রান করেছেন মুনরো।

১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৫ রান। উইলিয়ামসন ব্যাট করছেন ৬ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রস টেইলর।

বোলিংয়ে এসেই গাপটিলকে ফেরালেন সাকিব

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন মার্টিন গাপটিল। ওপেনিংয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ কেউই সুবিধা করে উঠতে না পারায় বোলিং পরিবর্তন করেন দুই প্রান্তেই। আর বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই গাপটিলকে ফেরান তিনি। তার বলে এগিয়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন তামিম ইকবালের হাতে। দলীয় ৩৫ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। মাত্র ১৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রান করেছেন গাপটিল।

সাবলীল শুরু নিউজিল্যান্ডের

মাশরাফি বিন মুর্তজার করা ইনিংসের প্রথম বলেই মিড উইকেট দিয়ে পুল করে দারুণ এক চার মারেন মার্টিন গাপটিল। বুঝিয়ে দেন লক্ষ্য ছোট হলেও ব্যাটটা নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দেই চালাবেন তারা। চালাচ্ছেনও। তবে দেখে শুনে ব্যাট করছেন কলিন মুনরো। তবে ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছেন তিনি। ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। ২৫ রানে ব্যাট করছেন গাপটিল। মুনরো উইকেটে আছেন ১০ রানে।

২৪৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের পেসারদের তোপে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শুধু পেসার নয়, স্পিনার মিচেল স্যান্টনারও ভুগিয়েছেন তাদের। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই আটকে রেখেছেন টাইগারদের। এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফিফটি করার পর ইনিংস লম্বা করতে না পারায় সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। শেষ দিকে সাইফউদ্দিন কিছুটা ঝড় না তুললে টাইগারদের সংগ্রহ হতো আরও কম।

রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট মাশরাফি

শেষ ওভারে ব্যাট করার সুযোগ মিলেছিল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। প্রথম বলেই কাট করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে থার্ডম্যানে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরা মাশরাফি আউট হয়েছেন দলীয় ২৪৪ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.৪ ওভারে ২৪৪ (তামিম ২৪, সৌম্য ২৫, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৯, মিঠুন ২৬, মাহমুদউল্লাহ ২০, মোসাদ্দেক ১১, সাইফউদ্দিন ২৯, মিরাজ ৭, মাশরাফি ১, মোস্তাফিজ ০*; হেনরি ৪/৪৭, বোল্ট ২/৪৪, ফার্গুসন ১/৪০, গ্রান্ডহোম ১/৩৯, নিশাম ০/২৪, স্যান্টনার ১/৪১)।

হেনরির বাউন্সারে আউট মিরাজ

রানের গতি বাড়াতে ম্যাট হেনরির বাউন্সার পুল করতে গিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে। দলীয় ২৩৫ রানে ব্যাক্তিগত ৭ রান করে আউট হন মিরাজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

বোল্টের শিকার মোসাদ্দেক

রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ট্রেন্ট বোল্টের বলে পিছিয়ে লংঅনের উপর দিয়ে সীমানা পার ছিল তার লক্ষ্য। তবে ঠিকভাবে ব্যাটে বলে না হওয়ায় উঠে যায় আকাশে। সে ক্যাচ সহজেই ধরে ফেলেন মার্টিন গাপটিল। দলীয় ২২৪ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২২ন বলে ১১ রান করেছেন মোসাদ্দেক।

৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২৮ রান। ২৪ রানে ব্যাট করছেন সাইফউদ্দিন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে বড় চাপে বাংলাদেশ

শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন মিচেল স্যান্টনার। টাইগারদের চেপে ধরে আটকে রেখেছেন খোলসে। এবার দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহকে। ধীর গতির বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছুটা আগে ব্যাট চালিয়ে দেওয়ায় কভারে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৪১ বলে ২০ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৯৭ রানে রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৫ রান। ৮ রানে ব্যাট করছেন মোসাদ্দেক হোসেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ফিরে গেলেন মিঠুন

নিউজিল্যান্ডের পেসারদের গতি, বাউন্স ও সুইং সামলে উইকেটে সেট হতে বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তবে সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। এবার আউট হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ম্যাট হেনরির বাউন্সারে পুল করতে চেয়েছিলেন মিঠুন। ব্যাটের উপরের দিকে কানায় লেগে লং লেগে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দলীয় ১৭৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৬ রান করেন মিঠুন।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮১ রান। মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ১১ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

সাকিবের বিদায়

পারলেন না এবারও। এ নিয়ে সাত বার বিশ্বকাপে পঞ্চাশের বেশি রান করলেন সাকিব। কিন্তু সেটাকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে নিতে পারলেন না বিশ্বসেরা এ অল রাউন্ডার। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক টম লাথামের তালুবন্দি হন সাকিব। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৬৪ রান। ৬৮ বলের ইনিংসে ৭টি চার মেরেছেন তিনি। দলীয় ১৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৫৫ রান। ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ মিঠুন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

সাকিবের ফিফটি

সৌম্য, তামিম ও মুশফিকের বিদায়ে বেশ চাপেই আছে বাংলাদেশ। কারণ রানের গতি বাড়াতে পারছে না টাইগাররা। তবে কিছুটা ব্যাতিক্রম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছন্দের ধারাবাহিকতা তুলে নিয়ে এদিনও দলের ইনিংস মেরামতের কাজে নেমেছেন তিনি। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ৫৪ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন তিনি। তা করতে ৫টি চার মেরেছেন তিনি। আগের ম্যাচেও করেছিলেন কার্যকরী হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে এ নিয়ে সপ্তম হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। ক্যারিয়ারে ৪৪তম।

২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৮ রান। ৬২ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। মিঠুন উইকেটে আছেন ১০ রানে।

মুশফিকের বিদায়ে বাড়ল চাপ

শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টাইগারদের আটকে রেখেছিল নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। রানের গতিতে বেশ ভালোই লাগাম দিয়েছে দলটি। তবে মুশফিক ও সাকিব সে চাপ ভেঙে কিছুটা মারমুখী হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ৪৯ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু মুশফিকের আরও একটি সম্ভাবনায় ইনিংস শেষ হয়েছে সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। কভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু সাকিব সাড়া দেননি। উইকেট থেকে বেড়িয়ে যাওয়া মুশফিক আর ফিরতে পারেননি। রানআউট হয়েছেন।

দলীয় ১০৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেছেন মুশফিক।

বাংলাদেশের দলীয় শতরান

সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালের বিদায়ের পর বেশ চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে চাপ সামলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচের মতো এদিনও দলের হাল ধরেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। শুরুতে ধীর গতিতে ইনিংস মেরামতের কাজ করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছাড়ছেন তারা। জেমস নিশামের করা ২৩তম ওভারে প্রথম তিন বলে টানা তিনটি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের দলীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব।

২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। সাকিব ৩৬ ও মুশফিক ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

তামিমের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

আগের বলেই খাট লেংথের বডি লাইন বাউন্সারে তামিমকে চমকে দিয়েছিলেন লোকি ফার্গুসন। পরের বলটাও খাট লেংথের করেন এ পেসার। পুল করতে চেয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিড উইকেটে সে ক্যাচ লুফে নিতে কোন ভুল করেননি ট্রেন্ট বোল্ট। ত্তাতে কিছুটা চাপে পড়েছে টাইগাররা। দলীয় ৬০ রানে পড়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেছেন তামিম।

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬২ রান। সাকিব ১০ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।

সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি

শুরুটা বেশ সাবধানতার সঙ্গেই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ৪৫ রানের জুটিও গড়েছিলেন। এ জুটি ভেঙেছেন দারুণ ছন্দে থাকা ম্যাট হেনরি। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন সৌম্য। তবে বলে ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল তার প্যাডে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৫ রান করেছেন এ ওপেনার।

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৬ রান। ২০ রানে ব্যাট করছেন তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের সাবধানী সূচনা

নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টের গতি ঝড় সামলাতে বেশ সাবধানেই ব্যাট করছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। এখন পর্যন্ত বড় কোন ঝুঁকি নেয়নি তারা। দেখে শুনে খেলে মাঝে মধ্যে বাউন্ডারি হাকাচ্ছে দলটি। প্রথম পাঁচ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে তিনটি।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২২ রান। তামিম ও সৌম্য দুইজনই ১১ রানে ব্যাট করছেন।

ওভালে মেঘ-রৌদ্রের খেলা

বুধবার লন্ডনের সকালটা শুরু ঝলমলে রোদ্দুর দিয়ে। দিনের এমন শুরু অবশ্য এখানে গোটা দিনের কোন আভাস দেয় না। দুপুর গড়াতেই তাই আকাশের মুখ গোমরা। মেঘ কালো করল খুব। তবে সেই মেঘ আবার আধঘণ্টার মধ্যেই উবে যায়। কিন্তু স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় যখন টস হচ্ছে তখন আবার ঈশান কোনে জমেছে কালো মেঘের দল। সেই মেঘ মাঝে মাঝে সরে সূর্যকে মুখ দেখাতে দিচ্ছে আবার ঘোমটা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে সূর্যের মুখ।

নতুন পিচে আছে প্রচুর ঘাস

আগের ম্যাচে নিজের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েই জিতেছিল বাংলাদেশ। এদিনও সেই মাঠেই খেলবে টাইগাররা। তাই প্রত্যাশা আগের চেয়েও বেশি। কিন্তু আগের দিন যে উইকেটে খেলা হয়েছিল এদিন খেলা হচ্ছে ভিন্ন উইকেটে। সাধারণত উইকেট একটু মন্থর থাকলে, স্পিন গ্রিপ করলে নিজেদের সেরা খেলাটা দেখাতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু ইংল্যান্ডের চিরায়ত গতি, বাউন্স আর সুইংবান্ধব বাইশ গজ হলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে উইকেটে খেলা হয়েছিল এবার আর তা হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ গড়াবে নতুন উইকেটে। এ উইকেটে বিশ্বকাপের আর কোন ম্যাচ গড়ায়নি। উইকেটে দেখা গেছে প্রচুর ঘাস। যা হয়তো জিভে জল এনে দিচ্ছে পারে ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিদের।

নাসির হোসেনের পিচ রিপোর্ট: সম্পূর্ণ ফ্রেশ পিচ। পিচে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘাসও রয়েছে। যেখানে টেনিস বলের মতোই বল বাউন্স করতে পারে। যদি বোলাররা ক্রস সিম ব্যবহার করেন তাহলে বাউন্স তুলে নেওয়া সহজ হবে বোলারদের জন্য। তবে এটাও মজার হবে কীভাবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের ফিঙ্গার স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাট করেন।

অপরিবর্তিত নিউজিল্যান্ডের একাদশও

বাংলাদেশের মতো নিউজিল্যান্ডও তাদের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখেছে। ইশ সোধিকে খেলানোর কথা চিন্তা করলেও উইকেট বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দলটি। কারণ বাউন্সি উইকেটে চার পেসার নিয়েই খেলছে দলটি।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর, টম লাথাম, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, লোকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ একাদশ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা একাদশ নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের জায়গায় রুবেলের হোসেনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত উইনিং কম্বিনেশনে ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

বাংলাদেশের একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর টাইগাররা। অন্যদিকে ফুরফুরে মেজাজে আছে নিউজিল্যান্ডও। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে দলটি। তাই কিউইদের বিপক্ষে জয় পেতে নিজেদের সেরাটাই খেলতে টাইগারদের। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। টস হেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সিদ্ধান্তে ব্যাটিং করতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

নতুন মাইলফলকের সামনে সাকিব

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের ম্যাচে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ডার হিসেবে দ্রুততম ম্যাচে ২৫০ উইকেট ও ৫০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন। এদিন আরও একটি মাইলফলকের সামনে এ তারকা। মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে খেলবেন সাকিব খেলবেন ২০০তম ম্যাচ। মাইলফলকের এ ম্যাচেও তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ

পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিপক্ষেই। কিউইদের বিপক্ষে আগের ৩৪ ম্যাচের ২৪টিতেই হেরেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপে তো আরও বিবর্ণ। মোট চারবারের মোকাবেলায় চার বারই হার দেখেছে তারা। তবে বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফলাফল। এই ইংল্যান্ডের মাঠেই সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছিল টাইগাররাই।

 

Comments