বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়ার সেশন বাড়িয়ে দিল উইলিয়ামসন-ভীতি
চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিউজিল্যান্ড তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের দুশ্চিন্তাও হুহু করে বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ ভেঙেছে সেই জুটি। দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভারে ৯০ রান খরচ করে নিউজিল্যান্ডের দুটি উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। উইকেটের কলাম নিয়ে তবু আফসোস থেকে যাবে যথেষ্টই! আরও দুটি উইকেটও যে বাংলাদেশের মুঠোতেই ছিল, শুধু তা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
বুধবার সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা পিছিয়ে আছে ১৪২ রানে। ক্রিজে কেইন উইলিয়ামসন আছেন ১১৬ বলে ৬৬ রানে। তার সঙ্গে থাকা টম ব্লান্ডেলের সংগ্রহ ১৬ বলে ১ রান।
৪ রানে থাকা অবস্থায় ড্যারিল মিচেল উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। সোহান, প্রথম স্লিপে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ও বোলার শরিফুল ইসলামের আবেদনে ছিল না জোর। পরে জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লেতে বল যখন ব্যাট পার হচ্ছিল, তখন স্পাইক দেখতে পেয়ে হতাশ হন তারা। ফিফটি করে ফেলা বিপজ্জনক উইলিয়ামসনের ক্যাচ উঠেছিল ৬৩ রানে থাকতে। মিডউইকেটে তাইজুল ইসলাম সেটাও ফেলে দেন।
দ্বিতীয় সেশন নিউজিল্যান্ড শুরু করে ২ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে। টাইগারদের স্পিন আক্রমণে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলে যান উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। এরপর আক্রমণে পেসের আগমন ঘটাতেই উইকেটের দেখা মিলে যায়। শরিফুল ইসলাম এসে ৩২তম ওভারে প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন নিকোলসকে। ৪২ বলে ১৯ রানে নিকোলস আউট হন উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। একশর আগে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে কিউইরা।
কিছুক্ষণ পরই নতুন ব্যাটার মিচেলের ক্যাচও লুফেন সোহান। কিন্তু রিভিউ নিতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাননি। সেই মিচেল পরে বাংলাদেশকে ভোগান্তিতে ফেলেন ভালোমতো। যদিও স্পিনাররা টার্নের দেখা পান নিয়মিত। বিশেষ করে বাঁহাতি তাইজুল ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তাদেরকে সামলে কব্জির জাদুতে দেখেশুনে খেলেই ৭৫ বলে ফিফটি পেয়ে যান উইলিয়ামসন।
মিচেলও তার ফিফটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, শেষমেশ ৫৪ বলে ৪১ রানে তাকে আউট করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তাইজুলের বিশাল টার্ন করা বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করে ফেলেন মিচেল। ভাঙে ৯৬ বলে ৬৬ রানের জুটি। দলকে ১৬৪ রানে রেখে ফিরে যান তিনি ড্রেসিংরুমে।
৪৮তম ওভারে মিচেলের ফেরার পরের ওভারেই উইলিয়ামসনের একই গন্তব্য হতে পারতো। কিন্তু হয়নি। শেষমেশ তাই বাংলাদেশ চা বিরতিতে গেছে ওই আফসোস সঙ্গী করেই। সাথে বাংলাদেশিদের মনে উইলিয়ামসন-ভীতিটাও তো আরও বেড়েই গেল। গত তিন টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরি ও দুটি সেঞ্চুরি পাওয়া এই কিউই ব্যাটার কোথায় গিয়ে যে থামেন!
Comments