ভালো অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের শান্তকে হারানোর আক্ষেপ
প্রথম সেশন দাপুটে অবস্থানে থেকেই শেষ করতে পারত বাংলাদেশ। হ্যাঁ, পারত। এই আফসোসটাই থাকবে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। সবচেয়ে বেশি আক্ষেপে তো পুড়বেন আদতে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। আগ্রাসী ভঙ্গিতে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে বড় কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ আউট হয়ে গেলেন কিনা গ্লেন ফিলিপসের নির্বিষ এক ফুলটস বলেই!
মঙ্গলবার সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে ওপেনার জাকির হাসানের পর শান্তর উইকেটও হারিয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য ২ উইকেট পড়লেও স্কোরবোর্ডে ১০৪ রান তুলে ভালো অবস্থানেই নিজেদের দেখতে পাচ্ছে স্বাগতিকরা। ভরসা দিয়ে ক্রিজে আছেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৭৮ বলে ৪২ রানে। তার সঙ্গী অভিজ্ঞ টেস্ট ব্যাটার মুমিনুল হকের সংগ্রহ ৮ বলে ৩ রান।
নির্বিঘ্নে প্রথম ঘণ্টা পার করার আভাস দিয়েও বাংলাদেশের প্রথম উইকেট পড়ে যায় ৩৯ রানে। বিপদ যদিও আর ঘনীভূত হয়নি শান্ত ও জয়ের ব্যাটে। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তার মতো করে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে যাচ্ছেন জয়। অধিনায়ক শান্ত দায়িত্বের বোঝা গায়ে না লাগার ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
নতুন বলে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনের হুমকি ভালোভাবেই পার করে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম ওভারে আক্রমণে স্পিনের আগমন ঘটিয়ে সাফল্য পান কিউই কাপ্তান সাউদি। অস্বস্তিতে থাকা বাঁহাতি ওপেনার জাকির হাসানকে ৪১ বলে ১২ রানেই বড় টার্নে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন এজাজ প্যাটেল। এরপর এই বাঁহাতি স্পিনারকে ভয়ঙ্কর হতে দেননি শান্ত।
ডাউন দ্য উইকেটে এসে তিন-তিনটি ছক্কা বাংলাদেশ দলনেতা মারেন এজাজকে। বলের চেয়ে বেশি রান করেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু শেষমেশ কাল হয়েই উঠল তার সে আগ্রাসী রূপ!
প্রথম সেশনের শেষদিকে অনিয়মিত অফ স্পিনার ফিলিপসকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন সাউদি। লাঞ্চের মিনিট পনেরো বাকি থাকতেই ফিলিপসের ফুল টসে লোভ সামলাতে পারেননি শান্ত। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান ৩৫ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৭ রান করে। মিড অনে থাকা কেইন উইলিয়ামসনের পিছু ফিরে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় ঘটে শান্তর। ফলে ভাঙে ৭১ বলে ৫৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
ডানহাতি জয়ের সাবলীল ব্যাটে এরপর এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ২৭তম ওভারেই দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় টাইগাররা। ওই ওভারেই দলের খাতায় ১০৪ রানে চলে আসার পর আম্পায়াররা দেন লাঞ্চের ঘোষণা।
Comments