এশিয়া কাপ ২০২৩

নেট রান রেটের অন্য হিসাবনিকাশ জানতই না আফগানরা!

ছবি: এএফপি

৩৭.১ ওভারে ২৯২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে না পারার পরও আফগানিস্তানের সুযোগ ছিল এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জনের। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, নেট রান রেটের সেসব হিসাবনিকাশ জানা ছিল না তাদের! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাগলাটে ম্যাচে হেরে বিদায় নেওয়ার পর এমনটাই জানালেন দলটির প্রধান কোচ জোনাথান ট্রট।

মঙ্গলবার লাহোরে আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা ৮ উইকেটে ২৯১ রান তোলে। জবাবে ৩৭ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৮৯। অর্থাৎ পরের বলে ৩ রান দরকার ছিল তাদের। সেটা করতে পারলে জয়ের পাশাপাশি নেট রান রেটে লঙ্কানদের টপকে যেত তারা। কিন্তু ধনঞ্জয়া ডি সিলভার করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান মুজিব উর রহমান। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেন তিনি।

সেসময় নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা রশিদ খান হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়েন মাটিতে। আফগানিস্তানের ড্রেসিং রুমও তখন ছিটকে যাওয়ার বেদনা আর হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ গাণিতিকভাবে তখনও দলটি টিকেছিল এশিয়া কাপে। ৩৭.২ ওভারে ২৯৩, ৩৭.৩ ওভারে ২৯৪, ৩৭.৫ ওভারে ২৯৫, ৩৮ ওভারে ২৯৬ অথবা ৩৮.১ ওভারে ২৯৭ রান করে জিততে পারলে তাদের নেট রান রেট শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি হতো। কিন্তু সেসব হিসাবনিকাশ জানত না আফগানরা।

তখন আফগানিস্তানের জন্য যেসব পরিস্থিতি দরকার ছিল তা হলো, ১১ নম্বর ব্যাটার ফজলহক ফারুকিকে ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার অথবা তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে হতো অথবা সিঙ্গেল নিয়ে রশিদকে খেলা শেষ করার চেষ্টা করতে দিতে হতো। কিন্তু ১৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকা রশিদ আর স্ট্রাইকেই যেতে পারেননি। ওই ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ফারুকি। এতে ২৮৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ২ রানের নাটকীয় জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয় শ্রীলঙ্কার।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ট্রট বলেন, ম্যাচ অফিসিয়ালরা আফগানিস্তান দলকে স্রেফ একটি বাদে আর কোনো হিসাবনিকাশ জানাননি, 'ওসব হিসাবনিকাশ আমাদের কখনোই জানানো হয়নি। শুধু জানানো হয়েছিল, আমাদের  ৩৭.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে। আমাদের জানানো হয়নি (জেতার জন্য) কত ওভারের মধ্যে ২৯৫ বা ২৯৭ রান করতে হতো। ৩৮.১ ওভার (পর্যন্ত যে সুযোগ ছিল তা) আমাদের কখনোই জানানো হয়নি।'

নেট রান রেট জাতীয় তথ্যের জন্য দলগুলো সম্পূর্ণরূপে ম্যাচ অফিসিয়ালদের ওপর নির্ভর করে এমন নয়। হিসাবনিকাশ করে এটি বের করা জটিল প্রক্রিয়াও নয়। কোনো দলের কোচিং স্টাফে থাকা অ্যানালিস্ট সাধারণত এই কাজটা করে থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cancer causes 12% of deaths in Bangladesh annually: BSMMU study

The number of new cancer patients recorded in a year was 52.9 per 1,000 people

16m ago