এশিয়া কাপে ভ্রমণ ঝক্কিতে ‘অসুবিধা’ দেখছে বিসিবি
হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপের যে সূচি প্রকাশ হয়েছে তাতে একেক ম্যাচ খেলতে বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ খেলতে হবে দুই দেশে। সুপার ফোরে উঠলেও আছে এমন ছুটোছুটি। এরকম আসরে এমন ভ্রমণ ঝক্কিতে খেলায় প্রভাব ফেলার শঙ্কা দেখছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তবে তিনি জানিয়েছেন চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা রেখে কিছুটা স্বস্তি দিতে চাইছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।
৩০ অগাস্ট মুলতানে পাকিস্তান-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ৩১ অগাস্ট ক্যান্ডিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ খেলে লাহোরের ফ্লাইট ধরতে হবে সাকিব আল হাসানদের। ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সুপার ফোরে উঠলে ৬ অক্টোবর লাহোরেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এরপরের ম্যাচগুলো খেলতে ফের কলম্বো যেতে হবে।
একটা টুর্নামেন্টের মাঝে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা আসা যাওয়া একদমই আদর্শ নয়।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে আলাপে সূচি নিয়ে নিজেদের অস্বস্তি তাই আড়াল করেননি জালাল, তবে জানিয়েছেন এসিসি কষ্ট কিছুটা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, 'আমাদের প্রথম ম্যাচ ক্যান্ডিতে, ওটা খেলে আবার লাহোরে যেতে হবে। এখন যেতে হবে কিছু করার নেই। এসিসির সিদ্ধান্ত। এটা একটু স্বস্তিদায়ক জার্নি যেন হয় তাই চার্টার্ড বিমান দিবে এসিসি। সব দলের জন্যই এ ব্যবস্থা থাকবে যাদের দুই দেশে ম্যাচ।'
'আমরা অবশ্যই চাইবো যেন ভালো প্রতিষ্ঠানের চার্টার্ড বিমান হয়। এমন হলে সবার জন্যই ভালো হয়।'
এক ম্যাচ খেলে আরেক দেশে গিয়ে আরেক ম্যাচ খেলা। এমন বাস্তবতা খেলার উপরও প্রভাব পড়তে পারে। কেমন প্রভাব তাও ব্যাখ্যা করে বলেছেন বিসিবির এই পরিচালক, 'এতটা ভ্রমণ করলে তো একটু অসুবিধা হয়ই। আমরা তো সবাই জানি যে বিমানে যেতে হলে দুই ঘণ্টা আগে যেতে হয়, লাগেজ নিয়ে যেতে হয়। এরপর জেট লেগের ব্যাপার থাকে। এটা মানসিক ভাবে একটা চাপ তো পড়ছেই। শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান তো আরও অনেক দূরে। তো কিছু তো করার নেই, যেহেতু এটা এসিসির সিদ্ধান্ত সবাই এভাবেই খেলছে। আমাদেরও মেনে নিতে হচ্ছে।'
Comments