উইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ড জয়ে অশ্বিনের অনন্য কীর্তি
ম্যাচ তিন দিনেই শেষ হতে পারে এমন আভাস ছিল না মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ও। দ্বিতীয় সেশনের মাঝে ভারত তাদের ইনিংস ঘোষণার পর বল হাতে জ্বলে উঠলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টার্ন ও বাউন্সে ভরপুর উইকেটে তাকে কোনো জবাব দিতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই তারকা অফ স্পিনারের অনন্য কীর্তিতে সফরকারীরা পেল রেকর্ড জয়ের স্বাদ।
ডমিনিকায় প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস ও ১৪১ রানে হারিয়েছে ভারত। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল। এই জয়ে রেকর্ড গড়েছে তারা। নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে উইন্ডিজের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার এটিই।
আগের দিনের ২ উইকেটে ৩১২ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারতীয়রা। তারা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৫ উইকেটে ৪২১ রানে। ২৭১ রানের বড় লিড নিয়ে।
অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো যশস্বী জয়সওয়াল থামেন ১৭১ রানে। এই ওপেনার ৩৮৭ বল মোকাবিলায় মারেন ১৬ চার ও ১ ছক্কা। তিনি ক্রিজে ছিলেন ৫০১ মিনিট। দুবার জীবন পাওয়া বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে ১৮২ বলে ৫ চারে ৭৬ রান। আজিঙ্কা রাহাতে টিকতে পারেননি। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ৮২ বলে ৩৭ ও আরেক অভিষিক্ত ইশান কিশান ২০ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ফের ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার জাদেজা। এরপর স্বাগতিক ব্যাটারদের হন্তারক হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন অশ্বিন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বোলার দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৭১ রানে ৭ উইকেট। এতে টেস্টে দেশের বাইরে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের অভিজ্ঞতাও হয় তার। ম্যাচে সব মিলিয়ে অশ্বিনের প্রাপ্তি ১৩১ রানে ১২ উইকেট।
এই প্রথম ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে কোনো টেস্টে ১২ উইকেট নিতে পেরেছেন একজন স্পিনার। অশ্বিন ছাড়িয়ে গেছেন সাঈদ আজমলকে। এতদিন সেরার কীর্তি ছিল পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনারের দখলে। তিনি ২০১১ সালে গায়ানায় ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ১১১ রানে।
অশ্বিনের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া উইন্ডিজের মাত্র পাঁচ ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে। ৫০.৩ ওভারে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা অভিষিক্ত আলিক আথানেজ পরেরবারও সতীর্থদের মধ্যে সবার উপরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান।
Comments