আফগানিস্তানকে রেকর্ড লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চা বিরতির পর আরও ঘণ্টাখানেক ব্যাট করল বাংলাদেশ। টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকে হাফসেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস। কিছুক্ষণ পর এই সংস্করণে ১৩ ম্যাচ পর সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন মুমিনুল হক। সব মিলিয়ে ৬৬১ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিং ছাড়ল টাইগাররা। আফগানিস্তানকে তারা ছুঁড়ে দিল রেকর্ড রান তাড়া করার লক্ষ্য।

শুক্রবার মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। চারে নামা মুমিনুলের রান সেসময় ছিল ১৪৫ বলে ১২১। লিটন ছিলেন ৮১ বলে ৬৬ রানে। তাদের ওয়ানডে ঘরানার অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১৬০ বলে ১৪৩ রান।

বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করায় আফগানরা পেয়েছে ৬৬২ রানের বিরাট লক্ষ্য। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই কোনো প্রতিপক্ষকে টাইগারদের দেওয়া সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য। এর আগে ২০২১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তারা।

৬৭ বলে ফিফটি পূরণ করা মুমিনুল তিন অঙ্কে পৌঁছান ১২৩ বলে। ক্যারিয়ারের ৫৭তম টেস্টে এটি তার দ্বাদশ সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি শতরানের রেকর্ড তার দখলে। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম যৌথভাবে দুইয়ে আছেন দশটি করে সেঞ্চুরি নিয়ে।

দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে এদিন খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ১ উইকেট খুইয়ে ২৬ ওভারে তারা যোগ করে ১২১ রান। দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১২৩ রান। এরপর তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরও ৪৭ রান। তবে কোনো উইকেট নিতে পারেনি আফগানরা।

মুমিনুলের আগে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে নেমে নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পর ক্যাচ দিয়ে ১২৪ রানে থামেন তিনি। ১৫১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৫ চার। এতে ভাঙে মুমিনুলের সঙ্গে তার ১১৩ বলে ৮৩ রানের জুটি।

একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এতদিন এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ছিল কেবল মুমিনুলের। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই কীর্তি গড়েন তিনি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে করেন ১৭৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে সাবেক টেস্ট অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১০৫ রান।

পাঁচ বছর পর মুমিনুলের সঙ্গী হয়েছেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৭৫ বলে ১৪৬ রান। ক্যারিয়ারের ২৩তম টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ পান ফর্মের তুঙ্গে থাকা শান্ত। তার আগের সেঞ্চুরিগুলো এসেছিল ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় দুর্ভাগ্যজনক কায়দায় রানআউটে কাটা পড়েন ওপেনার জাকির হাসান। সেঞ্চুরির সুবাস জাগিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন ৯৫ বলে ৮ চারে ৭১ রানে। এতে ভাঙে শান্তর সঙ্গে তার ১৯৯ বলে ১৭৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

Comments