ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ

বৃষ্টি মুখর দিনে মুমিনুলের ব্যাটে ঝড়, ‘বিশেষ ছাড়’ পেলেন বিজয়

Mominul Haque
মুমিনুল হক। ফাইল ছবি

বসন্তের অসময়ের বৃষ্টির তোড়ে  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দিনের তিন ম্যাচের দুটোই হলো পরিত্যক্ত। আরেকটির ফল বের হলেও খেলা হয়েছে সংক্ষিপ্ত। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচে তাণ্ডব চালিয়ে নিজের নতুন রূপ দেখিয়েছেন মুমিনুল হক। এনামুল হক বিজয় আবার বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেয়েছেন বিশেষ ছাড়।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে আগে ব্যাট করতে দিয়েছিল মোহামেডান।  ২১ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে তাতেই ২২২ রান তুলে ফেলে তারা। ওপেন করতে নেমে টি-টোয়েন্টি মেজাজে মাত্র ৪১ বলে ৭৪ রান করে ফেলেন মুমিনুল। তার সঙ্গে ওপেন করতে নামা ইমরানুজ্জামান ১৪ বলেই করেন ২৫ রান।  ভারতীয় আমানদীপ খারে ৩৬ বলের উপস্থিতিতিতে করে যান ৬৩ রান।

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ডি/এল মেথডের সমীকরণ থাকায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল রূপগঞ্জ। তাতে অগ্রণী ভূমিকা নেন গত বিপিএলে দল না পাওয়া মুমিনুল। ইমরানকে নিয়ে ওপেনিংয়ে পাওয়ার প্লেতে আনেন ৬০ রান। দ্বিতীয় উইকেটে আমানদীপের সঙ্গে আরও ৭৭ রান যোগ করেন তিনি। খালেদ আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ১১ চার, ১ ছক্কা মেরেছেন টেস্ট স্পেশালিষ্ট তকমা পাওয়া এই বাঁহাতি। রূপগঞ্জের ইনিংসে নামা বৃষ্টি আর খেলার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি। দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির চাপ পরিত্যক্ত করে দেয় এই ম্যাচ।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী। এই ম্যাচেও দফায় দফায় হানা দেয় বৃষ্টি। টস হেরে আগে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া আবাহনী চেপে ধরে শাইনপুকুরকে। ৩৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তুলে তারা। রাকিবুল হাসান, তানভীর ইসলামদের বাঁহাতি স্পিন ডানা মেলতে দেয়নি রূপগঞ্জের ব্যাটারদের।

মজার কথা হলো এই ম্যাচে আবাহনীর ফিল্ডিং চলাকালীন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এআইইউবি)র সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছিলেন আবাহনীর ওপেনার বিজয়। স্নাতক সনদ নিয়ে আসতে আসতে শাইনপুকুরের ইনিংসের তখন প্রায় শেষ প্রান্ত। একদম শেষ দিকে এক ঝলক মাঠে দেখা যায় তাকে।

পরে ঠিকই ওপেন করতে নেমে যান তিনি। করেন ফিফটিও। নির্দিষ্ট সময় ফিল্ডিং না করে ওপেন করতে নামার নিয়ম নেই। তবে ম্যাচ রেফারি আকতার আহমেদ শিপার জানান, বিশেষ কারণে ফিল্ডিং না করেও ব্যাট করতে নামার নজির আছে। বিজয়ের শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থাকায় তাকে এদিন ছাড় দেওয়া হয়েছিল। প্রতিপক্ষ শাইনপুকুরও তাতে আপত্তি করেনি।

বিশেষ ছাড়ে ওপেন করতে নেমে রানের ধারা অব্যাহত রাখেন বিজয়। ৬৪ বলে করেন অপরাজিত ৫৪ রান। নাঈম শেখ ৪৮ বলে করেন যান ৪৩ রান। আবাহনী ২১ ওভারে ১১৪ রান তোলার পর কম আলোর কারণে আর খেলা সম্ভব হয়নি। তবে ডি/এলএস মেথডে তারা ম্যাচ জিতে যায় ১০ রানে।

 

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

11h ago