কোহলির সাফল্যের পেছনে যেসব কারণ দেখছেন হ্যাজেলউড

ছবি: আইসিসি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরাট কোহলির বিপক্ষে যতটা না খেলেছেন, সেটার চেয়ে বেশি জশ হ্যাজেলউড খেলেছেন তার সতীর্থ হিসেবে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সবশেষ দুটি মৌসুম কাটিয়েছেন দুজন। তবে আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফের প্রতিদ্বন্দ্বীর ভূমিকায় দেখা যাবে তাদেরকে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার হ্যাজেলউড জানিয়েছেন কোহলির সাফল্যের পেছনে তার চোখে পড়া কারণগুলো।

ইংল্যান্ডের ওভালে আগামী ৭ জুন শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের ফাইনাল। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত। গত চক্রেও কোহলিরা ফাইনাল খেলেছিলেন। তবে অজিরা এবারই প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে আছেন হ্যাজেলউড। তবে একাদশে তার থাকা নিশ্চিত নয়। তিনি আছেন কোমরের দিকের ব্যথা থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে। এই কারণে সবশেষ আইপিএল আগেভাগে ছাড়তে হয় তাকে। বেঙ্গালুরুর হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান তিনি। শেষ পর্যন্ত হ্যাজেলউড একাদশে জায়গা করে নিলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে অজিদের জন্য। কেননা গত দুই বছরে কোহলিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি।

লম্বা সময় কাছাকাছি থাকায় হ্যাজেলউড বোঝার চেষ্টা করেছেন কোহলি কেন এত ভালো। বুধবার আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি, সে যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করে (সেটা তাকে বাকিদের চেয়ে আলাদা করে)। প্রথমত তার ফিটনেস, এরপর স্কিল নিয়ে তার কাজ এবং শেষে নির্দিষ্ট করে বললে, তার ব্যাটিং ও ফিল্ডিং। সে সবার আগে (অনুশীলনে) যায় এবং সবার শেষে ফেরে... আর সে সব সময় যে গভীরতা সহকারে অনুশীলন করে সেটা সবাইকে তার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আকৃষ্ট করে। সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায় এবং এতে সবারই উন্নতি হয়।'

ভারতের বিপক্ষে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ব্রিসবেনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল হ্যাজেলউডের। এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে তাদের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি টেস্ট (১৫টি) খেলেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে তার বোলিং পরিসংখ্যানও ভীষণ সমৃদ্ধ। টেস্টে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পাঁচবার ইনিংসে ৫ উইকেট তিনি নিয়েছেন কোহলিদের বিপরীতে। ইংল্যান্ডের মাটিতেও হ্যাজেলউড এখন পর্যন্ত চমৎকার পারফর্ম করেছেন। ৮ টেস্টে ২৩.৫৮ গড়ে শিকার করেছেন ৩৬ উইকেট।

প্রতিপক্ষের প্রতি সমীহ প্রকাশ করে হ্যাজেলউড বলেছেন, 'এটা খুবই বিস্ময়কর একটি পরিসংখ্যান কারণ আমি মনে করি, আমি তাদের বিপক্ষে প্রচুর পরিমাণ ক্রিকেট খেলেছি। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলাটা খুবই আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে। কেমন প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটায় খেলতে নামা হবে সেটা উভয় দলের দিক থেকেই চমৎকার কিছু হবে। আর অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলার চেয়ে এটা অনেক আলাদা। কারণ, সাধারণত সেসব জায়গাতেই তাদের বিপক্ষে খেলি (আমরা)।'

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

16h ago