ভারতকে হটিয়ে দুইয়ে পাকিস্তান, আগের অবস্থানেই বাংলাদেশ
আইসিসি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে সুখবর মিলেছিল ভারতের। তারা দখল করেছিল শীর্ষস্থান। তবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে দুঃসংবাদ পেল তারা। তাদেরকে তিনে নামিয়ে দুইয়ে উঠল পাকিস্তান। বাংলাদেশের অবস্থানের অবশ্য কোনো পরিবর্তন ঘটল না।
বৃহস্পতিবার সদস্য দেশগুলোর ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৮।
অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য নির্ভার থাকার উপায় নেই। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত। এক ধাপ এগিয়ে দুইয়ে ওঠা পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ১১৬। এক রেটিং পয়েন্ট কম থাকা ভারত নেমে গেছে তিন। ১০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড। তাদেরও উন্নতি হয়েছে এক ধাপ। এতে পাঁচে নেমে গেছে ওয়ানডের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১০১।
বার্ষিক হালনাগাদে ২০২০ সালের মে থেকে ২০২২ সালে মে মাসের আগে শেষ হওয়া সিরিজ ও টুর্নামেন্টগুলোতে দলগুলোর পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। পরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এসেছে শতভাগ। ফলে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স চলে গেছে বিবেচনার বাইরে। এতে ইংল্যান্ড ১০ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ তাদের আগের অবস্থান ধরে রেখেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ১০১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ ও বাংলাদেশ ৯৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ভগ্নাংশের ব্যবধানে পিছিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের নিচের দিকে বড় লাফ দিয়েছে আফগানিস্তান। তারা দুই ধাপ এগিয়ে উঠেছে আটে। তাদের রেটিং পয়েন্ট ৭১ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৮। ৬ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা নেমে গেছে নয়ে। তাদের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮০। আগের রেটিং পয়েন্ট ধরে রাখা ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭২) আছে দশম স্থানে।
রেটিং পয়েন্ট অনুসারে, ১১ থেকে ২০ নম্বরে থাকা দলগুলো হলো যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে (৫১), আয়ারল্যান্ড (৪৭), স্কটল্যান্ড (৪৬), নেপাল (৩৭), যুক্তরাষ্ট্র (৩৫), নামিবিয়া (২৯), নেদারল্যান্ডস (২৬), ওমান (২০), সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৮) ও পাপুয়া নিউগিনি (৪)।
Comments