সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা

ঋতুপর্ণা চাকমা (মাঝে)। ছবি: বাফুফে

ফাইনালসহ গোটা আসরে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ২০২৪ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের উইঙ্গার।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জেতার উচ্ছ্বাসে মেতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বুধবার দর্শকে ঠাসা কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন ২০ বছর বয়সী ঋতুপর্ণা। ৮১তম মিনিটে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়রের থ্রো-ইনে বল পেয়ে বামপ্রান্তে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাওয়ায় ভাসানো শট নেন তিনি। ঝাঁপিয়ে তা ফেরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেন নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপো। তার হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে বল অতিক্রম করে গোললাইন।

ছবি: বাফুফে

সদ্যসমাপ্ত আসরে লাল-সবুজ জার্সিতে লেফট উইংয়ে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক ছিলেন ঋতুপর্ণা। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা ও ফরোয়ার্ডদের বল যোগান দেওয়ার পাশাপাশি তিনি করেন দুটি গোল। ফাইনালের আগে সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষেও তিনি লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাকে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত ঋতুপর্ণা বলেছেন, '(সেরা খেলোয়াড় হয়ে) আমার অনেক ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার পেলাম। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।'

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী জনগণের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, 'আমার পরিবার আমাকে অনেক সমর্থন করেছে। বাংলাদেশের মানুষদের কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সমর্থন ও দোয়ায় আমরা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।'

আরও দুটি গোল পেতে পারতেন দ্রুতগতিসম্পন্ন প্রতিভাধর ফুটবলার ঋতুপর্ণা। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে তার একটি করে দূরপাল্লার শট ক্রসবারে বাধা পেয়েছিল।

২০২২ সালে সাফের গত আসরে নেপালকেই একই ভেন্যুতে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন বর্তমান অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

Comments