ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়
বজ্রপাতসহ বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এলো মাত্র ৭ ওভারে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিং ও শেষদিকে মার্কাস স্টয়নিসের আগ্রাসনে অস্ট্রেলিয়ার পুঁজি গেল একশর কাছাকাছি। এরপর ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ল পাকিস্তান। নাথান এলিস ও জাভিয়ের বার্টলেটের বোলিং তোপে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে থামল তারা।
ঝড়ো আবহাওয়া সামলে ব্রিসবেনে বৃহস্পতিবার গড়ানো প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে জিতেছে অজিরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ৯৩ রান তোলার পর পাকিস্তানিদের ৯ উইকেটে ৬৪ রানে বেঁধে ফেলে তারা। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে জশ ইংলিসের দল।
তিনে নেমে ৪৩ রান করেন মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য সুপরিচিত ম্যাক্সওয়েল। স্রেফ ১৯ বল মোকাবিলায় পাঁচটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও একটি ছক্কা। দুই পেসার এলিস ও বার্টলেট তিনটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৯ ও ১৩ রান খরচায়।
শুরু থেকেই দ্রুত রান ওঠানোয় মনোযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে আসে ১৬ রান। পরের ওভারে আক্রমণে গিয়ে প্রথম বলেই নাসিম শাহ ফেরান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে। কিন্তু রানের চাকায় লাগাম পড়েনি। ওই ওভারে ওঠে ১৭ রান। ম্যাক্সওয়েল মারেন চারটি চার।
কিছুদিন আগে হওয়া দুই দলের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক হারিস রউফ এসে স্বস্তি দেন পাকিস্তানকে। তার তৃতীয় ওভারে আসে ৩ রান। বিদায় নেন ম্যাথু শর্ট। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবে সেই স্বস্তি উবে যায়। রউফ আক্রমণে ফিরলে তার ওপর চড়াও হন তিনি। ম্যাক্সওয়েলের দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান আসে পঞ্চম ওভার থেকে।
শর্ট ডেলিভারিতে ক্যাচ বানিয়ে আব্বাস আফ্রিদি থামান ম্যাক্সওয়েলকে। টিম ডেভিডকেও টিকতে দেননি তিনি। তবে খরুচে নাসিমের করা ইনিংসের শেষ ওভারে স্টয়নিস আনেন ২০ রান। দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ফুলেফেঁপে ওঠে।
রান তাড়ায় সফরকারীদের শুরুটা হয় জুতসই। ইনিংসের প্রথম দুটি বলেই চার মারেন সাহিবজাদা ফারহান। এরপর নামে ধস। স্পেন্সার জনসন চতুর্থ বলেই সাজঘরে পাঠান ফারহানকে। নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খানকে পরের ওভারে আউট করেন বার্টলেট। তৃতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে এলিসও ধরেন জোড়া শিকার। এক বলের ব্যবধানে বাবর আজম ও ইরফান খানের উইকেট যায় তার ঝুলিতে।
অভিষেক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আগা সালমান হন বার্টলেটের তৃতীয় শিকার। এতে চতুর্থ ওভারে ২৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। তাদের প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ফারহান ৮, রিজওয়ান ০, বাবর ৩, উসমান ৪, সালমান ৪ ও ইরফান ০ রানে মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচের ভাগ্য তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর কমে কেবল হারের ব্যবধানই। আটে নামা আব্বাস সর্বোচ্চ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ বল খেলে দুটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ দুই বলে শাহিন ও নাসিম পরপর কাটা পড়েন অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে।
আগামী শনিবার সিডনিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।
Comments