আফিফ-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ‘মাইন্ডসেট’ বদল করেননি হাথুরুসিংহে
বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন একদিন আগেই বলছিলেন, মাহমুদউল্লাহকে তিনি আর বিশ্বকাপ দলে দেখেন না। বিশ্রামের আদলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে বাদ পড়ার পর অ্যাওয়ে সিরিজেও ঠাঁই হয়নি তার। স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই অভিজ্ঞ তারকার সমাপ্তির আভাসই মিলছে। কিন্তু প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিষয়টাকে আরেকটু ঝুলিয়ে রাখতে চান।
৩৭ পেরুনো মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডেতে নিচের দিকে দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাট করতে পারছিলেন না। ফিল্ডিংয়েও ধুঁকছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড সিরিজে খারাপ খেলার পরই তার বাদ পড়ার গুঞ্জন উঠে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই দেখা যায় গুঞ্জনের সত্যতা। তবে 'বাদ' শব্দের বদলে তার বেলায় ব্যবহৃত হয় 'বিশ্রাম'।
যদিও 'বিশ্রামের' সময়টায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন তিনি। এবার ইংল্যান্ডের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি তাকে। বিশ্বকাপের বছরে টানা দুই সিরিজ তো আর কাউকে বিশ্রাম দেওয়া হয় না। দীর্ঘদিন টিম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা খালেদ মাহমুদ তাই গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন বাস্তবতা, 'রিয়াদ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার অবশ্যই। বাংলাদেশ দলকে সে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু আমি যদি সত্যি বলি, যেহেতু ও জাতীয় দলে নেই, তাই তাকে বিশ্বকাপে দেখছি না। কারণ যদি তাকে বিশ্বকাপে দেখতাম এই সিরিজগুলোতে (আয়ারল্যান্ড) থাকত।'
আফিফের ব্যাপারটা আবার ভিন্ন। সাদা বলে নিয়মিতই ছিলেন তিনি। পোক্ত থাকা জায়গা হুট করে নড়ে যায় তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের মাঝেই স্কোয়াড থেকে জায়গা হারান। আর ফিরতে পারেননি।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন ক্যাম্পের শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফের ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নিজের মত দেন হাথুরুসিংহে, '(আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ) তাদের ব্যাপারে আমি আগে যা বলেছি সেটিই থাকবে। তারা সবাই মিক্সে (প্রাথমিক দলের ভাবনায়) আছে। বিশ্বকাপের আগে তারা সবাই-ই খেলার সুযোগ পাবে। আমরা ওই মাইন্ডসেটে কোনো পরিবর্তন করিনি।'
Comments