টেস্টে স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ড প্রবাথের
চাহিদা ছিল মাত্র একটি উইকেটের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে সেটা আদায় করে নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রবাথ জয়সুরিয়া। টেস্ট ক্রিকেটে স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন তিনি।
শুক্রবার গলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিজে গেছেন ৩১ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথ। মাত্র সাত টেস্টেই ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি। এতে ভাঙা পড়েছে ৭২ বছরের বেশি সময় ধরে টিকে থাকা রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলফ ভ্যালেনটাইন ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন আট টেস্টে। এই বাঁহাতি স্পিনার ১৯৫১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গড়েছিলেন ওই কীর্তি।
৪৩ উইকেট নিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন প্রবাথ। প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৫ উইকেট। এতে রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে পিটার মুর ও পল স্টার্লিংকে সাজঘরে ফিরিয়ে চূড়ায় উঠে যান। বলাই বাহুল্য, টেস্টে উইকেটের ফিফটি স্পর্শ করা দ্রুততম লঙ্কান বোলার তিনি।
গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে মুরকে আউট করার পর রেকর্ড গড়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় প্রবাথের জন্য। এদিন প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই অপেক্ষার ইতি টানেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে তার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ড্রাইভ করেছিলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরি করা স্টার্লিং। এক্সট্রা কভারে দারুণ কায়দায় নিচু ক্যাচ নেন কুসল মেন্ডিস।
প্রবাথের অর্জনের দিনে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ১০ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তারা সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে ২-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আইরিশদের ৪৯২ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ৭০৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ২০২ রানে অলআউট করে দেয় তারা।
সব মিলিয়ে টেস্টে ৫০ উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম প্রবাথ। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার থমাস রিচার্ডসন ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন সাত টেস্টে। এক শতাব্দীর বেশি সময় পর ২০১২ সালে সমান ম্যাচে উইকেটের ফিফটি পূরণ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার। ১১ বছরের ব্যবধানে রিচার্ডসন-ফিল্যান্ডারের পাশে বসেছেন প্রবাথ।
তাদের উপরে আছেন কেবল অস্ট্রেলিয়ার চার্লি টার্নার। টেস্টে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড তার দখলে। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে ১৮৮৮ সালে মাত্র ছয় টেস্ট লেগেছিল তার। প্রায় ১৩৫ বছর ধরে টিকে আছে সেই কীর্তি।
Comments