গাজীপুরে জায়েদার জয়

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর বঙ্গতাজ মিলনায়তনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

এ ছাড়া, মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকে মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রাশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।

ফলাফল ঘোষণা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে, সেখানে দেখা মেলেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের।

এর আগে. গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরই টেবিল ঘড়ি তথা জায়েদা খাতুনের সমর্থকরা সমস্বরে উল্লাস করতে শুরু করেন বঙ্গতাজ মিলনায়তনের সামনের সড়কে। 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলেছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেছিলেন, 'সবসময়ই আমি জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজকে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব।'

কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে জায়েদা খাতুন বলেছিলেন, 'জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, হানড্রেড পারসেন্ট।'

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জায়েদা খাতুনও বলেছিলেন, 'আমার কোনো অভিযোগ নেই। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে।'

তবে, বেশকিছু কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তারা বাকি প্রতীকের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে দেননি।

 

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

8h ago