'ঈদের কেনাকাটার টাকা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের দিলাম'

হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

হিজড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ জনের একটি দল বঙ্গবাজারে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের হাতে এই টাকা তুলে দেন।

ঈদের কেনাকাটা না করে পুরো টাকা তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার জন্য সহায়তা হিসেবে দিয়েছেন বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশ্মীরি দিপালী হিজড়া বলেন, 'আমরা গত ৪০ বা ৪৫ বছর ধরে তাদের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আসছি। আমরা আনন্দিত যে আজ তাদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলাম।'

আরেক হিজড়া নেতা বকুল হাজী বলেন, 'বাজারে আগুন না লাগলে আমরা এ বছরও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা পেতাম। এখন তাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। এই ঈদে আমরা কোনো নতুন পোশাক কিনছি না। সারাদেশ থেকে আমরা টাকা সংগ্রহ করেছি।'

এর আগে উত্তরা থেকে হিজড়া নেত্রী আলেয়া আজ ভোরে ব্যবসায়ীদের কাছে অনুদান হিসেবে দুই লাখ টাকা তুলে দেন।

'আমি চাই তারা বেঁচে থাকুক'

'আমি চাই তারা বেঁচে থাকুক, পরিবারের সঙ্গে, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপন করুক,' কথাগুলো বলছিলেন আলেয়া হিজরা।

শনিবার বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।

গত সপ্তাহে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্স।

'এই টাকা আমি আমার হজ করার জন্য জমিয়েছিলাম। এখন আমি এই টাকা ব্যবসায়ীদের দিতে চাই যাতে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে', বঙ্গবাজারের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলছিলেন উত্তরা থেকে আসা আলেয়া।

আলেয়া বলেন, 'আগুনে এই মার্কেট পুড়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই হৃদয়বিদারক। একসময় আমরা এই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা করে নিতাম। আর আজ তারাই সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব। আজকে আমি তাদের জন্য অল্প কিছু সাহায্য করছি।'

এসময় সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

আগুনে বঙ্গবাজার মার্কেটের এক হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

10h ago