অভিবাসন: রক্ষকই যখন ভক্ষক
একজনকে উড়োজাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য খুব ভোরে বিমানবন্দরে গিয়েছি। বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টারের সামনে ব্যাপক ভিড়। বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক ভাই-বোনেরা। তাদের অনেকেই ঘুমাচ্ছেন, কেউ ফোনে কথা বলছেন, কেউ বসে আছেন।
তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন এবং তাদের ফ্লাইটের সময়ও ভিন্ন। সেখানে অপেক্ষায় ছিলাম আমার যাত্রীর চেকইন হয়ে গেলে ফিরে আসবো ভেবে।
ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনালে যেখানে বসে ছিলাম, তার চারপাশে প্রায় ২০ জন যাত্রী বসে ছিলেন। তাদের সামনে ট্রলিতে মালামাল। হঠাৎ দেখলাম, টাইট করে বাধা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে রক্ত মেশানো পানি গড়িয়ে পড়ে মেঝে সয়লাব হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম, 'ভাই এই ব্যাগটা কার? কী আছে এতে? দেখেন রক্তের পানি গড়িয়ে পড়ছে।'
এই কথা শুনে ধরমর করে এক যাত্রী ঘুম থেকে উঠে বললেন, 'ও আল্লাহ, ইডাতো আমার ব্যাগ। ওই ব্যাগো করি আমি মাছ, গোশত নিয়া আইছি সুনামগঞ্জ থাকি।'
বিস্মিত হয়ে বললাম, 'সেকি, আপনি এভাবে কাঁচা মাছ, মাংস নিয়ে যাবেন প্লেনে? কাঁচা মালামাল প্লেনে তুলবেই না।'
তিনি সৌদি আরব যাবেন এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় ফ্লাইট। আগেরদিন বিকেলে সুনামগঞ্জ থেকে বাসে রওয়ানা দিয়ে ভোররাতে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন। তখন সময় ভোর সাড়ে ৬টা।
ভদ্রলোক ব্যাকুল হয়ে তার ব্যাগটি খুললেন। এরমধ্যে আশেপাশের অন্যান্য যাত্রীরা ভিড় করে দাঁড়ালো তার চারপাশে। এক যাত্রী বললেন, 'আপনের মাছ সব পইচ্চা যাইবো। আপনে রাইন্ধা আনলে ঠিক থাকতো। এইগুলান হালায় দ্যান।'
ভদ্রলোক খুব মন খারাপ করে ব্যাগ থেকে এক বাক্স ছোট মাছ, আর এক বাক্স কাঁচা গরুর মাংস বের করলেন। এগুলো বরফ চাপা দিয়ে ব্যাগে মুড়িয়ে আনলেও প্রচণ্ড গরমে বরফ অর্ধেক গলেই গেছে। তার ব্যাগের অন্যান্য কাপড়েও এই পানি লেগে গেছে।
কষ্ট লাগলো। বেচারা এই প্রথম বিদেশে যাচ্ছেন। কষ্ট করে তার জন্য মাছ, মাংস কেটে-বেছে দিয়েছে বাসা থেকে। কিন্তু কীভাবে নিতে হবে জানেন না বলে নিতে পারলেন না। তিনি জানালেন, কেউ তাকে বলেও দেয়নি কী নেওয়া যাবে, কী নেওয়া যাবে না। এমনকি তিনি জানেনও না, বিদেশে পৌঁছে ঠিক কতদিন পর কাজে যোগ দিতে পারবেন। তাই কিছু চাল, ডাল, গুড়, চিড়াও নিয়েছেন সঙ্গে।
এটাই আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদের গড়পড়তা অবস্থা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিছু না জানিয়ে তাদেরকে উড়োজাহাজে তুলে দেওয়া।
এই মানুষগুলোই কিন্তু এগিয়ে গিয়ে কাজ করছেন বিশ্ববাজারে। কখনো জয়ী হয়েছেন, কখনো পরাজিত অথবা প্রতারিত হয়েছেন। কখনো বরফ চাপা পড়ে বা কাভার্ডভ্যানে আটকা পড়ে মারাও গেছেন, কিন্তু থেমে যাননি।
প্রমাণিত হয়েছে, ভয়াবহ বৈশ্বিক মন্দা ও দেশের আর্থিক দুরবস্থায় বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারে একমাত্র তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স। এর আগে করোনাকালে যখন দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তখন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই আমাদের বাঁচিয়েছিল। দেশের উন্নয়নে ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে আমরা চাইছি বৈধ পথে অধিক রেমিট্যান্স। অথচ অভিবাসীদের নিরাপদ অভিবাসনে নানাবিধ বাধা রয়েই গেছে।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মানবপাচারে জড়িত সরকারি সংস্থা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছিল জনশক্তি রপ্তানিতে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিকার এবং প্রতিরোধের জন্য। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি চক্র যোগসাজশে জড়িয়েছেন মানবপাচারের মতো অপকর্মে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, রক্ষকই এখন ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। অবশ্য এই জালিয়াতি করেও অভিযুক্ত অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চাকরি করে যাচ্ছেন। প্রতিবেদন হওয়ার আগে কেউ ভাবতেই পারেনি বিএমইটির কিছু অসাধু মানুষ এত বড় অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগ শুনেছিলাম যে রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালালরা চাকরি না দিয়েই ভুয়া স্মার্ট কার্ডে কর্মীদের বিদেশ পাঠিয়েছে। আমাদের দেশের অদক্ষ, কম পড়াশোনা জানা, সরল এবং সর্বোপরি দরিদ্র মানুষ এদের হাত ধরে বিদেশে যাচ্ছেন এবং চরমভাবে প্রতারিত হয়ে ফিরেও আসছেন। মানুষ হারাচ্ছেন তাদের ভিটেমাটি, সম্পদ, জড়াচ্ছেন ঋণের জালে।
বিদেশে গিয়ে কাজ করে একটু ভালো থাকবেন, পরিবারকে ভালো রাখবেন— এই আশা বুকে নিয়ে তারা ছুটে যান। বিদেশের রাস্তাঘাট, গরম-ঠাণ্ডা, আবহাওয়া, খাদ্য ব্যবস্থা কিছুই জানেন না। এমনকি হয়তো এটাও জানেন না যে তাদের পাঠানো টাকাতেই বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে।
কিন্তু সরকার শ্লোগান দেয়, 'অভিবাসীর ঘামের টাকা, ঘুরায় দেশের অর্থনীতির চাকা।' এই অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর পেটে যেসব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লাথি মারছে, কেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না? বিএমইটির কতিপয় কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পরেও কেন চোখ বন্ধ করে আছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়?
নকল কার্ড নিয়ে অভিবাসীরা আরব আমিরাতসহ মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ গিয়েছেন। তারপর সেখানে জেল খেটেছেন, মার খেয়েছেন, কাজ পাননি, না খেয়ে থেকেছেন এবং শেষপর্যন্ত গলাধাক্কা খেয়ে ফিরে এসেছেন। সরকারি এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছেন।
এদিকে আমরা মুখ হা করে বসেছিলাম এবং এখন আরও বড় হা করে বসে আছি যে কীভাবে দেশে রেমিট্যান্স বাড়বে। সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায়, প্রতিদিন রেমিট্যান্সের হিসাব। প্রবাসীরা কত রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, কখন বাড়ছে, কখন কমছে— এগুলো আমাদের সরকারের জন্য খুব জরুরি খবর। কিন্তু সরকারের মধ্যে থেকেও যারা এই অসহায় মানুষগুলোকে প্রতারিত করছে, তাদের কি শাস্তি হচ্ছে?
প্রতারণার মাধ্যমে মানবপাচার একটি জঘন্য অপরাধ। যদিও অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা, অধিকার বাস্তবায়ন ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে সরকার আইন করেছে। কিন্তু অনেক আইনের মতোই এই আইনও রয়ে গেছে পুঁথিতে, প্রয়োগ নেই। প্রয়োগ থাকলে খোদ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, এরপরেও অভিযুক্তরা কেন শাস্তি পাচ্ছে না? সেখানে সবার নাম আছে, কে কী অপরাধ করেছে তাও বলা আছে। তাহলে মন্ত্রণালয় কেন তাদের অধীনস্থ সংস্থা বিএমইটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চুপচাপ আছে?
ইউরোপীয় কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের ২২ জুলাই বিবিসির এক সংবাদে বলা হয়েছে, এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রবেশ করেছে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। অভিবাসন সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে ৫ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে এভাবে উন্নত দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের অনেককেই নেওয়া হয় ফুসলিয়ে। এমনকি শিক্ষিত তরুণরাও ভালো জীবনের আশায় এই পথে পা রাখছেন।
শোনা যাচ্ছে, এসব অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারি কর্মচারীদের ছলচাতুরীর সঙ্গে মানবপাচারের উপায় হিসেবে যোগ হয়েছে প্রযুক্তি। ইতালি, লিবিয়ার মতো দেশের কিছু অসাধু গ্রুপ স্থানীয়দের মাধ্যমে শিক্ষিত তরুণদের টার্গেট করছে। পুলিশ ও অভিবাসন কর্মীরা বলছেন, শিকার ফাঁদে ফেলতে এখন নানাভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম। এমনকি বিদেশে আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণও হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
অন্যদিকে উপসাগরীয় দেশগুলোতে দক্ষ বিদেশি কর্মীর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলেও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে বসেছে বাংলাদেশ। কারণ এখনও দেশের বেশিরভাগ কর্মীই অদক্ষ কিংবা স্বল্প দক্ষ। বৈদেশিক কর্মসংস্থানে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন খাতে। বিভিন্ন দেশ থেকে তাই দক্ষ কর্মী বাহিনী কাজের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অনেকটা পতনের মুখে। আর এই সংকটের মুহূর্তে যে পরিমাণ বৈদেশিক রিজার্ভ দেশে থাকা প্রয়োজন, সে অনুপাতে বাড়ছে না বিদেশি কর্মীর সংখ্যা।
আমাদের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সরকার কমপক্ষে ৫০ লাখ নতুন কর্মী বিদেশে পাঠানো এবং ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এই ৫০ লাখের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হবে দক্ষ শ্রেণীর কর্মী। কিন্তু বিগত ২ অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উল্লেখযোগ্যভাবে এগোতে পারেনি সরকার। যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই অদক্ষ। ফলে এই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১৫ শতাংশ।
প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কার, সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন, ভালো ব্যবহার, ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও, তেমন কিছুই হচ্ছে না। অথচ সামনের দিনগুলো আরও অনেক কঠিন হয়ে উঠছে। শুধু অদক্ষ অভিবাসীদের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ আর পায়ের ওপর পা দিয়ে আয় করতে পারবে না।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতেই হবে, নতুন বাজার খুঁজতে হবে এবং সেইসঙ্গে কঠিনভাবে নিরাপদ অভিবাসন চালু করতে হবে। তবে অভিবাসনে ইচ্ছুক মানুষ যখন দক্ষ ও সচেতন হবেন, তখন দালালদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমে যাবে।
বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে বিক্রয়, বিপণন, ক্লাউড, পাবলিক সেক্টর, ডিজিটাল ব্যাংকিং, সফটওয়্যার উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক খাতে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আমাদের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে।
বিভিন্ন দেশে নিরাপত্তা রক্ষী, ড্রাইভার, নির্মাণ শ্রমিক এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে যেমন বাংলাদেশিরা চাকরি নিচ্ছেন, তেমনটি চলুক। পাশাপাশি প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, টেকনিশিয়ান ও কৃষিকাজ করার জন্যও স্বল্প দক্ষ মানুষ কাজ করতে থাকুক বিদেশে।
আমরা নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, গার্মেন্টস কর্মী, রন্ধন কর্মী বা বাবুর্চি, কেয়ারগিভারদের জন্যও বড় বাজার খুঁজতে পারি। বিদেশে আমাদের দূতাবাসের উচিৎ, সেখানকার বাজার বিশ্লেষণ করে কাজের উৎস সম্পর্কে বলা, যাতে নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করা যায়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২২ অনুসারে, আন্তর্জাতিক অভিবাসনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ এবং ২০২০ সালে রেমিট্যান্স অর্জনে অবস্থান অষ্টম। অর্থাৎ, বিদেশে বেশি কর্মী পাঠানোর পরেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় কম হচ্ছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতায় আছে ভারত, চীন, মেক্সিকো ফিলিপাইন, মিশর, পাকিস্তান ও ফ্রান্স। ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনসহ যেসব দেশ দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠাচ্ছে, তারা বেশি রেমিট্যান্স অর্জন করছে।
দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর পাশাপাশি সাধারণ কাজ করতে যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা বিধান করাও সরকারের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক কর্ম বাজারে প্রবেশ করার আগে নিজের দেশেই যেন হয়রানি ও শঠতার শিকার না হয়, এটা দেখার দায়িত্বও সরকারের। তা না হলে সর্বাধিক সংখ্যায় অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণকারী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ প্রথমদিকে থাকলেও, দেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান স্বীকৃতি পাবে না এবং তাদের প্রাপ্য অধিকারগুলোও নিশ্চিত হবে না।
শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments