মতামত

সাংবাদিকতার ক্ষত অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখা জরুরি

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম 'সাংবাদিকেরাই কেবল সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে পারে' শিরোনামে একটি কলাম লিখেছেন সম্প্রতি। তিনি কোথায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সমাপ্তি হচ্ছে আর রাজনৈতিক সাংবাদিকতার শুরু হচ্ছে তা অনুসন্ধানের ওপর জোর দিয়েছেন। হঠাৎ কেন 'মতামত' কে তথ্য হিসেবে ব্যবহার শুরু হলো সেই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন। 

সাংবাদিকতায় পেশাগত বিচ্যুতির যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা এক রুগ্ন বাস্তবতা তৈরি করছে। আজ সাংবাদিকতার অনুসরণীয় নীতিমালা সমুন্নত রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। 

সাংবাদিকতা মূলত ফ্যাক্টস বা সত্যাশ্রয়ী পেশা। এখানে মন্তব্য বা মতামতের চেয়ে ফ্যাক্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। ১৯২১ সালে দ্য গার্ডিয়ানের সম্পাদক সিপি স্কট বলেছিলেন- মন্তব্য অবারিত, ফ্যাক্টস পবিত্র (Comment is free, but facts are sacred) । কিন্তু হালজামানায় সাংবাদিকতায় ফ্যাক্টসের চেয়ে মতামত বা মন্তব্যের গুরুত্ব বেড়েছে। মতামত বা মন্তব্য ফ্যাক্টস হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াসও দেখা যাচ্ছে।

ফ্যাক্টস সন্ধান কষ্টসাধ্য ব্যাপার কিন্তু মন্তব্য বা মতামত সংগ্রহে তুলনামূলকভাবে সহজ। মতামত বা মন্তব্য খবরকে শক্ত ভিত্তি দেয় যদি পেশাগতভাবে তা কাজে লাগানো যায়। সাংবাদিক ও নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ দ্য বেস্ট প্রফেশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড শীর্ষক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ৫০ বছর আগেই থেকেই প্রতিবেদনের সঙ্গে মতামত ও মন্তব্য, পটভূমি তথ্যজুড়ে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয় এবং তা করা হয় মূলত রিপোর্টের সমৃদ্ধ করার লক্ষে।

সময় পরিক্রমায় ফ্যাক্টস ছেড়ে মন্তব্য বা মতামতধর্মী সাংবাদিকতার আধিক্য দেখে দ্য গার্ডিয়ানের কলামিস্ট উইল হাফটন ''ফ্যাক্টস আর ফ্রি, বাট কমেন্ট ইজ সেক্রেড: দ্য নিউ রিয়ালিটি ফর নিউজ পাবলিশার্স'' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন ২০০৩ সালে। এ প্রবন্ধে তিনি সিপি স্কোটের সেই বিখ্যাত উদ্ধৃতি মন্তব্য অবারিত, ফ্যাক্টস পবিত্র কথাটি ঘুরিয়ে দেন। তিনি বলার চেষ্টা করেন, রিপোর্ট যদি মতামত বা মন্তব্য-ভিত্তিক হয় তাহলে ফ্যাক্টস আবিষ্কার হবে কীভাবে?

মানুষের কান ফ্যাক্টস শোনার তুলনায় মন্তব্য বা মতামত শোনার জন্য ক্রমশ তৈরি হচ্ছে। কারণ, এখন আমরা সত্য উত্তর জামানা পৌঁছেছি-এভন ব্যক্তি ফ্যাক্টস নয় ফিকশনে বেশি বিশ্বাস করে। অস্বস্তিকর সত্যের চেয়ে স্বস্তিদায়ক মিথ্যা শুনতে পছন্দ করে। সুতরাং রাজনীতি অভিমুখী সাংবাদিকতায় ফ্যাক্টস-এর মন্তব্য বা মতামতের শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক। মন্তব্য বা মতামতকে হাজির করা হবে ফ্যাক্টসের আদলে। ফ্যাক্টস আর ফিকশনের ভেদরেখা কমে আসবে। পাঠক ইতিমধ্যে এ ধারার আঁচ পেতে শুরু করেছেন।

নৈতিকতা ও মান সাংবাদিকতার অন্তঃপ্রাণ। সাংবাদিকতা ফ্যাক্টস বেইজড, ফিকশন বেইজড নয়। ব্যক্তি, সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকার, রাজনীতিবিদ যা প্রকাশ করতে চায় তা সংবাদ নয়, জনসংযোগ। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ যা প্রকাশ করতে চায় না তাই সংবাদ। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করার অধিকার সাংবাদিকের রয়েছে। অস্বাভাবিকতা না থাকলে কেউ কিছু গোপন করতে চায় না। গোপনীয়তা অনুসন্ধান দাবি করে। গোপন তালা খুলে সত্য বের করে আনা সাংবাদিকের কাজ মূলত ফ্যাক্টসনির্ভর প্রয়াস।

সত্যের দ্বারে কর্তৃপক্ষ তালা দেন নানাপ্রকরণে। এটি যে সবসময় হুমকি-ধমকি, মামলা, হামলা দিয়ে হয় তা না। অনেকসময় সরকার বা রাষ্ট্র সংবাদপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ফিল্ডার বা ছাঁকনি সেট করে। ছাঁকনি মানে কতোগুলো চাবিশব্দ, যা রাজনীতি, রাষ্ট্র ও জাতীয় আবেগের সঙ্গে যুক্ত। এ ক্যাটাগরিগুলো শাসকগোষ্ঠীর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। সংবাদ ছাঁকনি সংবাদমাধ্যমের জন্য ভয়ের শাসন জারি করে, স্বাধীনতা সংকুচিত করে, সেলফ সেন্সরশীপের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। তবে সংবাদ নিয়ন্ত্রণে ছাঁকনিকরণ নতুন কিছু নয়।

আমেরিকান তাত্ত্বিক অ্যাডওয়ার্ড এস হারম্যান ও নোয়াম চমস্কি ও সংবাদ ছাঁকনি নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেছেন। তাদের রচিত ম্যানিফ্যাকচারিং কনসেন্ট: দ্য পলিটিকেল ইকোনমি অব ম্যাস মিডিয়া গ্রন্থে তা দারুণভাবে উঠে এসেছে। জনগণের মতামত কিভাবে ভেঙ্গেচুরে নিজেদের অনুকূলে আনতে হয়, সম্মতি উৎপাদন করতে হয় সেই দীক্ষায়নয়ের কৌশলটি গ্রন্থে উপস্থাপন করেন। মোদ্দাকথা, প্রতিটি সরকারের নিজের শাসনের অনুকূলে জনসম্মতি দরকার। সংবাদপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সরকার এ জনসম্মতি উৎপাদন করে।

এদেশেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ ছাঁকনি সেট করা হচ্ছে । যেমন- কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ক্রিটিক্যালি দেখলে তকমা লাগানো হচ্ছে উন্নয়নবিরোধী, একজন দিনমজুরের উক্তিকে দেখা হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চেতনা হিসেবে, সরকারের সমালোচনাকে দেখা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে। এ ছাঁকনি ফসকে কোনো খবর বের হলে চোখ রাঙানি শুরু হয়। সরকার বা রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ্ত করে। রাষ্ট্রীয় ম্যাশনিরাজি দৌঁড়ে আসে। অনুগতদের সম্পৃক্ত করে। একটি ঘটনায় ভালোভাবে শাসানো গেলো তা বেশ কাজে লাগে। ছাঁকনিকরণ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে সহায়তা করে। 

যেমন-বাংলাদেশে ডে-ইভেন্ট বেইজড সাংবাদিকতার যে রমরমা হাল এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পতনমুখীতার পেছনে এ ছাঁকনিকরণ প্রক্রিয়ার প্রভাব রয়েছে। একটি দেশের সাংবাদিকতা কতটুকু উৎকর্ষ অর্জন করলো তার অন্যতম প্রধানসূচক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। ছাঁকনিকরণ প্রক্রিয়া জারি থাকলে কেউ ঝুঁকি নিতে চান না, ঝামেলায় জড়াতে চান না। 

যাহোক, মাহফুজ আনামের অনুমিতি সত্য প্রমাণিত হলো সাংবাদিকতার মর্মবাণীর ওপর তা হবে কুঠারাঘাত। তবে এ কথা অস্বীকারের সুযোগ নেই বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতার সঙ্গে নৈকট্য। ক্ষমতার সঙ্গে থাকা, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার স্বভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা চেক করার চেয়ে সুরক্ষা দিতে পারঙ্গম হয়ে উঠেছে সাংবাদিকতা। ক্ষমতার যে ফাঁদটি পেতেছেন সাংবাদিকেরা খুব সহজেই তাতে ধরা দিচ্ছেন। আর তা দিচ্ছেন ব্যক্তিগত স্বার্থে। নিশ্চিত তা পেশাগত উৎকর্ষের জন্য নয়।

সাংবাদিকতা একটি ছদ্মবেশী আবরণের মধ্যে পড়েছে। পদ-পদবি, সমিতি সবকিছু সাংবাদিকতার আদলে সার্ভ করা হচ্ছে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক বা গোষ্ঠীবাদী স্বার্থ। তা নকল আবহ তৈরি করেছে, যা আপাতদৃষ্টিতে বৈধ বলে মনে হয়। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত কিছু সাংবাদিক, সম্পাদক ও অধ্যাপক!  এসব পরিচয় উপেক্ষা করা যাচ্ছে না, মুখগুলোও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। বাস্তবতা হলো- এ শ্রেণি ক্ষমতা ও কর্তৃত্বপ্রিয়।  

মূলধারা সংবাদমাধ্যম যারা নৈতিকতা ও মানের সাংবাদিকতার চেষ্টা করছেন এ নেক্সাস তাদের বিরুদ্ধে কারণে-অকারণে উঠে পড়ে লাগছে। মূলধারা সংবাদমাধ্যমের যে ভুলভ্রান্তি  নেই তা তো বলা যাবে না। মাহফুজ আনামের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অংশ বিশেষ এবং সম্প্রতি প্রথম আলোয় প্রকাশিত ফটোকার্ড নিয়ে সাংবাদিকতাদের মধ্যে গোষ্ঠীপ্রিয়তার নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে। তারা বিভ্রান্তিকর ও পক্ষপাতদুষ্ট অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘভাষ্য, কণ্ঠের জোর, আবেগী ফ্রেম, গ্ল্যামার এবং হুমবি-তুম্ববি প্রকাশ করছেন। সাংবাদিকতায় যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট প্রকাশটি খুব জরুরি।

কেবল যুদ্ধ ক্ষেত্রে এমবেডেড সাংবাদিকতা হয় না। লোকরঞ্জনবাদী শাসনে এমবেডেড সাংবাদিকতার রমরমা ক্ষেত তৈরি করছে। মিডিয়াভিত্তিক সংস্থা ম্যাস-লাইন মিডিয়া সেন্টার কর্তৃক ২০০৪ সালে আয়োজিত মুক্তগণমাধ্যম ‍দিবসের আলোচনায় একজন প্রবীণ আলোচক জানতে চেয়েছিলেন এমবেডেড সাংবাদিকতার বাংলা কী করা যাবে। দর্শক গ্যালারি থেকে একজন হাত উঁচিয়ে বলেছিলেন-'শয্যাশায়ী সাংবাদিকতা'- হলরুমজুড়ে হাসির রোল পড়েছিল। হালে এমবেডেডে সাংবাদিকতার অনেক ধরন দেখা যাচ্ছে উচ্চ পদধারিকদের সঙ্গে বিদেশ ও হজ যাত্রা, প্রেস কনফারেন্সে।  

বাংলাদেশে অভাবনীয় সংখ্যায় সংবাদমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। লাইসেন্স প্রাপ্তি ও গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা ক্রিয়াশীল অনুঘটক। সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক প্রসার পেশাদারি সাংবাদিকতা বিকাশের ক্ষেত্রটি কণ্টকাকীর্ণ করে তুলেছে। এ জন্য যে পরিমাণ পেশাদার জনবল ও সুবিধা দরকার তার অপ্রতুলতা রয়েছে। এ কারণে সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের সুযোগটি খুবই সীমিত। যতটুকু হচ্ছে তা হাউসগুলোর অভ্যন্তরীণ চর্চায় কারণে হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমে আধিক্যের পেছনে একটি বিশেষ প্রকরণ রয়েছে যা স্যার টমাস গ্রিশামের বিখ্যাত অর্থনীতির সূত্রের সঙ্গে মিলে-ব্যাড মানি ড্রাইভ আউট গুড মানি আউট অব সার্কুলেন। মন্দ টাকার অবাধপ্রবাহ ভালো টাকাকে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়। অপেশাদার সংবাদমাধ্যমের আধিক্যে মান সাংবাদিকতার পথচলা যে অনেক কঠিন তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

অদক্ষরা পেশাগত ঈর্ষায় ভোগেন। তারা অন্যদের নিজেদের স্তরে নামিয়ে আনতে চান। এ তৎপরতা জোট পাকিয়ে। নানা পেশাও শ্রেণিতে সম্পৃক্ত করে তারা বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চান। জোট পাকানোর এ স্বভাবটিকে অ্যাডওয়ার্ড সাঈদ বলেছিলেন-ক্ল্যানিসনেস বা গোষ্ঠীতন্ত্র। 

একটি রাষ্ট্র যেখানে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়নি, ন্যায্যতার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে সেখানে সংবাদমাধমের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হবে এটি অস্বাভাবিক নয়। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কোনো ইউটোপিয়ান ধারণা নয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কারো অনুদান বা দয়ার উপর নির্ভর করে না। এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সনদ, চুক্তি ও ঘোষণাপত্র দ্বারা স্বীকৃত। অধিকন্তু রয়েছে সাংবিধানিক স্বীকৃতি। সংবাদপত্রে স্বাধীনতাকে তুলনা করা হয় মুক্তসমাজের জন্য অক্সিজেন হিসেবে। 

সম্পাদক মাহফুজ আনামের কথায় ফিরে আসি-তার রাজনৈতিক সাংবাদিকতার ধারা শুরু হতে যাচ্ছে এ অনুমিতি অস্বীকার করার উপায় নেই। সত্য উত্তর দুনিয়ায় মানুষের জ্ঞান ও  বোধে বড়ধরনের পরিবর্তন আসছে। একসময় ব্যক্তিকে গ্রহণোমুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হতো এখন অনেক বেশি বাছ-বিচারমূলক-যা তাঁর বিশ্বাসের সঙ্গে যায় তা সে গ্রহণ করে বাকিগুলো উপেক্ষা করে। চিন্তা, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির বিভক্তি সমাজে প্রবল হচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য-উপাত্তভিত্তিক বিষয়ের চেয়ে মন্তব্যধর্মী, রসালো ও ক্লেদাক্ত বিষয়ে প্রতি পাঠক-দর্শক-শ্রোতার আগ্রহ বাড়ছে।

লোকরঞ্জনবাদী ধারায় রাষ্ট্রীয় বিন্যাস হয়ে উঠেছে আনুগত্য উৎপাদনের বিশেষ কাঠামো। মুক্ত সমাজের জন্য প্রশ্ন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মতো অনুসরণীয় নীতিমালাগুলো ক্রমশ ধূসর হচ্ছে। সাংবাদিকতার ক্ষতগুলো অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে না পারলে তা উত্তরণে উন্নত বিকল্প বের করা কঠিন হবে।

খান মো. রবিউল আলম : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ

Comments