হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান

মতিউর রহমান

হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জামিন আবেদন করেন।

গত বুধবার রাতে ঢাকার রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্ত আইনে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই মামলায় পত্রিকাটির প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকেও আসামি করা হয়েছে। সিআইডি পরিচয়ে সাভারের বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ৩৫ ঘণ্টা পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই মামলার বাদী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেন।

এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে 'সহযোগী ক্যামেরাম্যান'সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন আব্দুল মালেক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি 'ফটো কার্ড' তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি ছিল একটি শিশুর। এই অসঙ্গতির বিষয়টি সংশোধন করে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে মূল প্রতিবেদনের শিরোনামও সংশোধন করা হয়।

ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা প্রথম আলোর সমালোচনা করে আসছেন। একই সঙ্গে দলটির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দুটি হয়। মামলা দুটির মধ্যে প্রথমটির বাদী ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম মো. কিবরিয়া। অপরটির বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক, যিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানকে তেজগাঁও থানার মামলা নয়, রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এই মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago