শুটিংয়ের কস্টিউম গায়ে না থাকলে বাচ্চাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে যেতাম: শাকিব খান

‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির শুটিংয়ে পুরান ঢাকা যাচ্ছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল ১১টা তখন তিনি মতিঝিল শাপলা চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখে গাড়ি থামান। এরপর শিক্ষার্থীরা শাকিব খানকে দেখে ছুটে আসে৷
shakib khan
অভিনেতা শাকিব খান। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির শুটিংয়ে পুরান ঢাকা যাচ্ছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল ১১টা তখন তিনি মতিঝিল শাপলা চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখে গাড়ি থামান। এরপর শিক্ষার্থীরা শাকিব খানকে দেখে ছুটে আসে৷

শাকিব খান তার গাড়ির জানালা খুলে দেন। সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে তাকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে শাকিব খান শিক্ষার্থীদের এই শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি তার সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।

শাকিব খান বেশ কিছুক্ষণ গাড়িতে বসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথাও বলেন। দ্য ডেইলি স্টারকে শাকিব বলেন, “খুবই ভালো লাগছিল দেখে যে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে তারা শান্তিপূর্ণভাবে যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে।”

“শুটিং এর কস্টিউম গায়ে না থাকলে আমি শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নেমে যেতাম,” যোগ করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ অভিনেতা।

শাকিব খান মনে করেন, বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “কারণ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, প্রশিক্ষণহীন চালক প্রতিদিনই এভাবে আমাদের ভাইবোনদের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।”

“বাংলাদেশের পরিবহন খাতে যে ব্যবস্থা চালু আছে এর ফলে আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার পর কেউ আর নিরাপদ থাকি না,” উল্লেখ করে শাকিব বলেন, “আজকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি আদায়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে, সেটি আমাদের বড়দের করার কথা ছিল।”

“শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা ব্যর্থ হয়েছি,” মন্তব্য করে এই অভিনেতা বলেন, “সবচেয়ে ভালো লাগছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গাড়ি লাইসেন্স দেখছে, তারপর গাড়ি ছাড়ছে, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচলে সহায়তা করছে; কী সুন্দর দৃশ্য!- তা দেখে আমি আবেগী হয়ে পড়েছি।”

শাকিবের ভাষায়, “সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠানের এসব ফিটনেসহীন গাড়ি দেখার কথা ছিল তারা এতদিন কিছুই করেনি। আমি এই আন্দোলনের সাথে আছি। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সাথে রাস্তায় নামবো। এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে না, সিস্টেমের বিরুদ্ধে। আমার মতে, প্রতিটি মানুষই এই সড়কে অকাল মৃত্যুর সমাধান চায় এবং এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন মানুষের।”

Comments

The Daily Star  | English

To maintain a stock fund, board spent millions on meetings

What does it take to manage  undistributed money of stock investors and hand it over to rightful recipients? You appear to be wrong if the answer is simply sincere effort.

1h ago