বিশ্বকাপের আগেই সুস্থ হবেন সালাহ : মিশরের ক্রীড়ামন্ত্রী

salah
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চোটে পড়ে কেঁদে মাঠ ছাড়েন সালাহ। ছবি : এএফপি

২৮ বছর আবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে মিশর। আর এর সবটাই সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ সালাহর অতিমানবীয় নৈপুণ্যে।অথচ দলকে বিশ্বকাপে টেনে নেওয়া সেই সালাহই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে চোট পেয়ে এখন শঙ্কায়। তবে আশাটা ছাড়ছে না মিশরীয়রা। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ চোট কাটিয়ে উঠবেন বলে জানিয়েছেন মিশরের ক্রীড়ামন্ত্রী খালেদ আবদুল আজিজ।

কিয়েভে লিভারপুলের স্বপ্নভঙ্গের রাতে আঘাত পান সালাহ। ম্যাচের ২৯ মিনিটে বল নিয়ন্ত্রণ করার সময় সালাহর হাত নিজের হাতের মাঝে আটকে টেনে ধরেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবেই আহত হন সালাহ। ব্যথানাশক স্প্রে করে এরপরেও মাঠে ছিলেন। তবে টিকতে পারেননি মিনিট-খানেকও।

অথচ বিশ্বকাপের বাকি আর আড়াই সপ্তাহের মতো। আর এ সময়েই সালাহর এমন চোট। তবে বিশ্বকাপের আগেই তিনি চোট থেকে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন মিশরের ক্রীড়ামন্ত্রী, ‘সালাহর ইনজুরি সাধারণ মানের। কাঁধের লিগামেন্ট মচকে গিয়েছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে, ইনশাল্লাহ!’

মিশরীয় ফুটবল ফেডারেশনও জানিয়েছে একই কথা। তবে সালাহর ইনজুরি বেশ বড় ধাক্কাই দলটির জন্য। বিশ্বকাপে অনুশীলনে থাকতে পারবেন না ‘মিশরের মেসি’। কারণ সালাহ চিকিৎসা সম্পূর্ণটাই হবে ক্লাব লিভারপুলের তত্ত্বাবধানে। সেরে না ওঠা পর্যন্ত তাই তাকে থাকতে হচ্ছে লিভারপুলেই।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে আবদুল আজিজ বলেছেন, ‘লিভারপুলের মেডিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমাদের ইনজুরির স্ক্যান কপি পাঠিয়েছে। তাদের এবং আমাদের দু’পক্ষেই ধারণা দ্রুতই সেরে উঠবেন সালাহ। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত পুনর্বাসনের জন্য তাকে লিভারপুলেই থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা সবুজ সংকেত দিলে ইতালিতে আমাদের ক্যাম্পের সময় তাকে আমরা পাবো।’

১৯৯০ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে মিশর। গ্রুপ ‘এ’তে তাদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, সৌদি আরব ও স্বাগতিক রাশিয়া। ১৫ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের মোকাবেলা করবে দলটি। এরপর ১৯ জুন প্রতিপক্ষ রাশিয়া। ২৫ জুন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সৌদি আরবের মুখোমুখি হবে ফারাওরা।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

12h ago