সালমান শাহ’র মৃত্যু: মায়ের দাবি খুন, অস্বীকার শ্বশুরের
সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে খুন করা হয়েছে – এমন দাবি করে রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে আমেরিকা প্রবাসী একজন বাংলাদেশি অনলাইনে ৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সালমান শাহের খুনে জড়িত ছিলেন তাঁর স্বামী চীনা নাগরিক চ্যান লিং চ্যান যিনি জন চ্যান নামে বাংলাদেশে পরিচিত। ধানমন্ডির সাংহাই রেস্টুরেন্টের মালিক এই ব্যক্তি চীনাদের দিয়ে এই খুন করান। এতে সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার পরিবারও জড়িত ছিলেন বলে রুবির দাবি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এরপর, তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সালমান শাহের পরিবারের দাবি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় নায়ককে খুন করা হয়।
রুবির ভিডিওটি তাঁর নজরে এসেছে বলেও জানান নীলা চৌধুরী। তিনি বর্তমানে লন্ডনে সালমানের ছোট ভাই শাহরানের কাছে অবস্থান করছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রুবির এই বক্তব্যের পর বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছিলো। আমি জানতাম এ দিনটা আমার আসবে। রুবি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় রয়েছে। তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আর রুবি যাদের নাম বলেছে তাদের এখন গ্রেফতার করা হোক।
এর বিচার দাবি করে নীলা আরও জানান, এত বছর তিনি হতাশায় ভুগেছেন। দেশে তাঁর নিরাপত্তা নেই তাই তিনি লন্ডনে আছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে সালমান শাহের শ্বশুর ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “রুবি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি ভিডিওটি দেখেছি। এটি খুবই হাস্যকর লেগেছে আমার কাছে। আমি জেনেছি রুবি তাঁর স্বামীর সঙ্গে নেই। ওদের ডিভোর্স হয়েছে। শেষ বয়সে অর্থকড়ির ঝামেলায় আছে হয়তো। কারণ তিনি ডিভোর্সের সময় স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারেননি, তাঁর ও পুত্রের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেননি। এজন্য হয়তো মাথা বিগড়ে গেছে। কিন্তু তাঁর দায় তো দেশ ও জাতি নেবে না। এটার (রুবির কথার) কোন ভিত্তি নেই।
উল্লেখ্য, মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে সালমান শাহ হত্যা মামলা করা হয়। রুবি এ মামলার সাত নম্বর আসামি।
Comments