জীবন থেকে আরও একটি বছর চলে গেল ববিতার

বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ ৩০ জুলাই। নায়িকাদের নাকি বয়স বাড়ে না। ববিতাকে দেখলে সেটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। এখনো সৌন্দর্যের অবাক দ্যুতি ঘিরে রয়েছে তাঁকে।
Bobita
অভিনেত্রী ববিতা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ ৩০ জুলাই। নায়িকাদের নাকি বয়স বাড়ে না। ববিতাকে দেখলে সেটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। এখনো সৌন্দর্যের অবাক দ্যুতি ঘিরে রয়েছে তাঁকে।

বর্তমানে খুব একটা অভিনয় করেন না ববিতা। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করেন তিনি। জন্মদিনে সেই শিশুরা আসেন তাঁর বাসায়। তাদের সঙ্গে হেসে-খেলে কাটিয়ে দেন জন্মদিনটা।

ববিতা দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “নতুন কোনো পরিকল্পনা নেই। শুধু মনে হয় আরেকটি বছর চলে গেল জীবন থেকে। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে না। আমার বোনরা আসে, পরিবারের মানুষদের সঙ্গেই দিনটি কেটে যায়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আসে। গান গায়, আনন্দ করে। তাদের নিয়ে জন্মদিন পালন করি। তবে জন্মদিনে আমার ছেলেকে অনেক মিস করি।”

ববিতার পুরো নাম ফরিদা আক্তার পপি। ১৯৫৩ সালের এই দিনে বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ তাঁর। বাবা নিজামুদ্দীন আতাউর একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা বি. জে. আরা ছিলেন একজন চিকিৎসক। ববিতার একমাত্র ছেলে অনীক কানাডায় পড়াশোনা করেন। অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা তাঁর বড় বোন এবং অভিনেত্রী চম্পা তাঁর ছোট বোন।

১৯৭০-৮০ এর দশকের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে উজ্জ্বল একটি নাম ছিলো ববিতা। সত্যজিৎ রায়ের “অশনি সংকেত” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হোন তিনি। আড়াইশ-র বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা। পরপর তিন বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার  পেয়েছেন। ১৯৭৫ সালে “বাঁদী থেকে বেগম”, ১৯৭৬ সালে “নয়নমণি” এবং ১৯৭৭ সালে “বসুন্ধরা” সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও, ১৯৮৫ সালে “রামের সুমতি” এবং ১৯৯৬ সালে “পোকামাকড়ের ঘরবসতি” সিনেমার জন্যও তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হোন।

জহির রায়হান পরিচালিত “টাকা আনা পাই” ছিলো ববিতার অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর, নজরুল ইসলামের পরিচালনায় “স্বরলিপি”-তে অভিনয় করে সুপারহিট নায়িকা হয়ে যান তিনি।

ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রের নাম: সংসার (১৯৬৮), শেষ পর্যন্ত (১৯৬৯), অরুণোদয়ের  অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২), আলোর মিছিল (১৯৭৪), ডুমুরের ফুল (১৯৭৮), বসুন্ধরা (১৯৭৭), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), নয়নমণি (১৯৭৬), সুন্দরী, অনন্ত প্রেম, লাঠিয়াল (১৯৭৫), এক মুঠো ভাত, আকাঙ্ক্ষা, মা, ফকির মজনু শাহ, সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬), এখনই সময়,  কসাই, জন্ম থেকে জ্বলছি (১৯৮১), বড় বাড়ির মেয়ে, পেনশন, দহন (১৯৮৬), চণ্ডীদাস ও রজকিনী, দিপু নাম্বার টু (১৯৯৬), রামের সুমতি (১৯৮৫), নিশান, মিন্টু আমার নাম, নাগ-নাগিনী, দোস্তী, প্রতিজ্ঞা, লাভ ইন সিঙ্গাপুর, প্রতিহিংসা, নাগ পূর্ণিমা, চ্যালেঞ্জ, মায়ের জন্য পাগল, স্বরলিপি, তিন কন্যা, লটারী, মিস লংকা, জীবন পরীক্ষা, জীবন সংসার, লাইলি মজনু, সাক্ষী এবং পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১)।

Comments

The Daily Star  | English

SS Power Plant: S Alam nexus laundered $815m through two LCs

SS Power opened the LCs to import capital machinery for its Chattogram-based 1320MW coal-based plant, but even a single item did not enter Bangladesh against these LCs. And yet the money crossed the border as monitoring by the authorities took back seat.

58m ago