জন্মদিনে তাহসানের কাছে ভালোবাসাই শেষ কথা

তাহসানের
ছবি: শেখ মেহেদি মোর্শেদ

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান। প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশের সাথে সাথেই ভক্তদের হৃদয়ে যায়গা করে নিয়েছেন। তখন থেকে গান, অভিনয়, মডেলিং সমান তালে করছেন তাহসান। এখানেই প্রতিভার শেষ নয়; একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াচ্ছেন তিনি। এই গুণী সঙ্গীত শিল্পীর জন্মদিন আজ। জন্মদিনে নিজের সম্পর্কে কথা বলেছেন ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

এ বছর জন্মদিন কিভাবে কাটাচ্ছেন?

তাহসান: এ বার জন্মদিনে ইউটিউবে ভিডিও ব্লগিং (ভ্লগিং) করে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাবো। ভক্তদের সাপোর্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। তাই আমারও উচিৎ কোন না কোনভাবে প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করা।

কোন জন্মদিনটা আপনার কাছে এখনো স্মরণীয়?

তাহসান: এটা ১২ বছর আগের ঘটনা। জন্মদিনের কিছুদিন আগেই আমার একক অ্যালবাম বাজারে আসে। প্রচুর ভক্ত সেবার আমার বাড়িতে উপহার পাঠিয়েছিলেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে হাবিব আর আমিই তখন সবচেয়ে কম বয়সী সেলিব্রেটি। সে বার উপহার দিতে বাসায় এতো মানুষ আসে যে সিকিউরিটি গার্ড শেষ পর্যন্ত অনেককে ফিরিয়ে দিয়েছিল। ফোনে টেক্সট করেও অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এই স্মৃতি ভোলার মতো না।

জন্মদিনে কোন ভক্ত দেখা করতে চাইলে কী করবেন?

তাহসান: ভক্তের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করব। কিন্তু সবার ইচ্ছা তো আর পূরণ করা সম্ভব না। এ বছর আমার সাথে দেখা করতে ফেনি থেকে এক ভক্ত এসেছিলেন। এতো দূর থেকে আসায় তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি। তার সাথে আবার দেখা করার ইচ্ছা রয়েছে আমার।

একজন সেলিব্রেটি হিসেবে নিজের কোন ব্যাপারটাকে সবচেয়ে উপভোগ করেন?

তাহসান: ভক্তদের স্বীকৃতি, আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা আর নিজের কাজটাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় কিছু হয় না।

জন্মদিনে কেক কাটতে ভালোবাসেন?

তাহসান: আমার কাছে কেকটা বড় কথা না, ভালোবাসার একটা প্রতীক হল এই কেক। গত বছর আমার ছাত্ররা কেকের ব্যবস্থা করেছিল। আমি মানা করলেও ওরা এটা করতো।

আগের মতো অভিনয় করছেন না?

তাহসান: ইন্টারেস্টিং কাজ না পাওয়া আগের মত কাজ করা হচ্ছে না। এক বছরের জন্য কাজে বিরতি দিয়ে আমার ভ্লগিংয়ের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।

আপনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন, এটা কি সত্য?

তাহসান: হ্যাঁ, এটা ঠিক। আমি এখন ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও গ্রামীণ ফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Drone crash triggers commotion on Ijtema ground, 40 injured

It was not immediately known how the drone fell or who it belonged to

19m ago