সিঙ্গাপুরে এস আলম ও পরিবারের সম্পদ জব্দের আদেশ আদালতের

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, তাদের সন্তান ও এক জামাতার নামে সিঙ্গাপুরে থাকা বিদেশি সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব সম্পদের মধ্যে আছে সিঙ্গাপুরে ৪৩টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানের পলিসি, দুটি হোটেলের শেয়ার, ৮টি হোটেল ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির মালিকানা এবং স্বর্ণালঙ্কার।

সিঙ্গাপুরে এস আলম দম্পতি দুটি হোটেলের শেয়ারের মালিক, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৬ কোটি ৮০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার। তাদের সন্তান, মেয়ে ও জামাতা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মালিক। মেয়ে মাইমুনা খানমের কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কারের বাজারমূল্য ৫৩ হাজার ৪০০ সিঙ্গাপুর ডলার।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেন।

দুদক উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাহসিন মোনাবিল হক এসব সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

তবে দুদক এখনো জানাতে পারেনি যে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও কোম্পানিতে কত পরিমাণ ডলার বিনিয়োগ বা জমা রাখা হয়েছে।

আবেদনে দুদক জানায়, 'বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এস আলম ও অন্যান্যরা তাদের এসব সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে জব্দের আদেশ জরুরি।'

আদালত সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আদেশের কপি পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন।

এর আগে গতকাল একই আদালত এস আলম ও তার পরিবারের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন।

গত ২৪ জুন একই আদালত সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং জার্সি আইল্যান্ডসে এস আলম ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

১৭ জুন আদালত এস আলম ও পরিবারের নামে থাকা ২০০.২৬ একর জমি জব্দের নির্দেশ দেন।

২৩ এপ্রিল ৯ হাজার ৬৪৬ কাঠা জমি এবং ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

এছাড়া, ৯ এপ্রিল ৭ হাজার ৯১৯ কাঠা জমি এবং ৩০ জানুয়ারি ৫৮ একর জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago