এজবাস্টন টেস্ট

‘চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসা’ সিরাজের জন্য ‘অবিশ্বাস্য অনুভূতি’ 

mohammed siraj

ইংল্যান্ডের মাঠে এর আগে তিনবার চার উইকেট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। কাছে গিয়েও পাঁচ উইকেট পাওয়া হয়নি। এবার অসাধারণ আগ্রাসী বোলিংয়ে সেখানে প্রথম ফাইফারের স্বাদ পেলেন। তার পেসের ঝাঁজে ভারতও পেল বড় লিড। জাসপ্রিত বুমরাহ না থাকায় দায়িত্বের যে ভার পড়েছে কাঁধে তা বেশ উপভোগ করছেন বলে জানালেন এই ডানহাতি পেসার।

এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে ভারত। ভারতের ৫৮৭ রানের জবাবে ৪০৭ রানে প্রথম ইনিংস থেমেছে ইংল্যান্ডের। ১৮০ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৬৪ রান তুলেছে তারা। সফরকারীদের লিড হয়ে গেছে ২৪৪ রানের। ভারতকে এমন দাপুটে জায়গায় নিতে ৭০ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন সিরাজ।

দিনের খেলা শেষে শুরুতেই জানালেন ফাইফারের অনুভূতি, 'এটা অবিশ্বাস্য কারণ আমি দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমি ভালো বোলিং করছিলাম কিন্তু উইকেট পাচ্ছিলাম না। এখানে (ইংল্যান্ডের মাঠে) আমি কেবল চার উইকেটের বেশি নিতে পারিনি, তাই ছয় উইকেট পাওয়া আমার জন্য খুবই বিশেষ।'

দ্বিতীয় দিন বিকেলে ২৫ রানেই ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট ফেলে দেন আকাশ দীপ ও বুমরাহ। এরপর জো রুট, হ্যারি ব্রুক মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলে তৃতীয় দিন সকালেই হানা দেন সিরাজ। দারুণ দুই বলে দ্রুত তুলে নেন রুট ও বেন স্টোকসকে।

তবে মারকাটারি জুটিতে হ্যারি ব্রুক আর জেমি স্মিথ জমিয়ে দেন ম্যাচ। তাদের ৩৬৮ বলে ৩০৩ রানের ম্যারাথন জুটি আকাশ ভেঙে জোড়া আঘাতের পর দ্রুত ইনিংস মুড়ে ছয় শিকার ধরেন সিরাজ। 

জানালেন বাড়তি কিছু না করে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেয়েছেন তিনি, 'উইকেট খুব ধীর ছিল কিন্তু যখন আপনাকে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আমার লক্ষ্য ছিল খুব বেশি চেষ্টা না করে কেবল সঠিক জায়গায় বল করা এবং নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখা। আমার মানসিকতা ছিল আঁটসাঁট রাখা এবং রান না দেওয়া।

বুমরাহ ছাড়া পেস আক্রমণে সবচেয়ে অভিজ্ঞ সিরাজ। বাকি দুজনকে আগলে রেখে নিজের কাঁধে ভার বেশি নিতে চেয়েছেন তিনি, 'এটা আকাশ দীপের তৃতীয় বা চতুর্থ ম্যাচ, প্রসিদের (কৃষ্ণ) জন্যও একই, তাই আমি কেবল ধারাবাহিক থাকার এবং চাপ বজায় রাখার উপর মনোযোগ দিচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল বিভিন্ন জিনিস চেষ্টা করি, কিন্তু আমাকে ধারাবাহিক থাকতে হবে।'

যখনই বুমরাহ বিশ্রামে থাকেন ভারতের টেস্ট আক্রমণের দায়িত্ব সামলাতে হয় সিরাজকে। এসব ম্যাচে আবার তার বোলিং গড় দারুণ। এটা প্রমাণ করে দায়িত্ব পেলে জ্বলে উঠেন তিনি। এই ব্যাপারে বলেন, 'আমি দায়িত্ব নিতে ভালোবাসি, আমি চ্যালেঞ্জ ভালোবাসি। [ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে] আমরা এই মুহূর্তে বেশ এগিয়ে আছি তবে পরিকল্পনা হলো বোর্ডে যতটা সম্ভব রান তোলা কারণ আমরা তাদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা জানি।'

তৃতীয় দিনের পর এজবাস্টনের পিচ কিছুটা ধীর হচ্ছে। এই অবস্থায় ধৈর্য রেখে ম্যাচ জেতার আশা সিরাজের, 'দিনের পর দিন পিচ আরও ধীর হচ্ছে। যদি আপনি এক জায়গায় বোলিং করতে থাকেন... এখানে ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

Comments

The Daily Star  | English

July 6, 2024: 'Bangla Blockade' announced

Beyond Dhaka, protesters hold the streets with equal resolve

22h ago