পুশ ইন নয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পাঠান: নাহিদ ইসলাম

৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির ইশতেহার ঘোষণা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'আমরা দেখেছি, এই পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ দ্বারা বাংলাদেশিদের নির্মমভাবে খুন করা হয়। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড এই ৫০ বছরে কোনো সরকার বন্ধ করতে পারেনি।'

'এখন আমরা দেখছি যে, ভারত থেকে অবৈধভাবে পুশ ইন করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। যদি পাঠাতেই হয়, সেই শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাংলাদেশে পাঠান। আমরা এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচারের আওতায় তাদের নিয়ে আসবো,' বলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে নাহিদ এই মন্তব্য করেন।

এর আগে তিনি 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

তিনি আরও বলেন, 'এই পুশ ইন যদি চলতে থাকে, আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না। আমরা বাংলাদেশিরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি।'

জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতার যে জোয়ার শুরু হয়েছে, তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত, তা অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের কামনা, যোগ করেন নাহিদ।

জনগণকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে একটি নতুন সংবিধান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করব। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদেরকে সমর্থন দিন।'

নাহিদ বলেন, 'ইনশাল্লাহ, আপনারা-আমরা একসঙ্গে যে স্বাধীনতা এনেছি, যে মুক্তি এনেছি, সেই স্বাধীনতা ও মুক্তি আমরা রক্ষা করব।'

দলে দলে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছি, আপনাদের কাছে এসেছি, এ জন্য যে—আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরে রাজপথ থেকে সরে যাইনি। আমরা রাজপথে আছি, আপনাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছি।'

আগামী ৩ আগস্ট সবাইকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, 'সারা বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার ইশতেহার আমরা পাঠ করব সেদিন।'

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago