এজবাস্টন টেস্টের আগে চাপে গম্ভীর

লিডস টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে ১১টি টেস্টের মধ্যে ৭টিতেই হেরেছে ভারত। ফলে তার দলে নির্বাচন, খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনা এবং সংবাদ সম্মেলনে আচরণ, সবকিছু নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অবসরের পর ভারতের টেস্ট ক্রিকেটে শুরু হয়েছে এক নতুন অধ্যায়। নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের নেতৃত্বে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে হারে সফরকারীরা। এতে করে দল ও কোচিং স্টাফ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

বুধবার থেকে এজবাস্টনে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে ধৈর্য ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

ইউটিউবে ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান আকাশ চোপড়া বলেন, ''গম্ভীর এখন গুরুতর চাপে আছেন। পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি জয় ছাড়া তিনি হেরেছেন নিউজিল্যান্ডের কাছে তিনটি, অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিনটি এবং এবার ইংল্যান্ডের কাছে একটি ম্যাচ। পরাজয় যেন লেগেই আছে।'

২০১১ বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা গম্ভীর গত বছর জুলাইয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের স্থলাভিষিক্ত হন। দ্রাবিড়ের সফল তিন বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের শেষ হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে। কিন্তু গম্ভীরের কোচিংয়ে ভারতের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হার দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা। আর সেটাই ছিল ঘরের মাঠে ভারতের ১২ বছরে প্রথম টেস্ট সিরিজ পরাজয়।

ইংল্যান্ড সফরের দল নির্বাচন নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন গম্ভীর ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর। দলে রাখা হয়নি ইন-ফর্ম ব্যাটার সরফরাজ খানকে, যিনি আগের বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৮* ও ৫৬ রান করেছিলেন এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল ১৫০। তার বদলে জায়গা পান করুণ নায়ার।

গম্ভীরকে নিয়ে অভিযোগ, তিনি অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ এবং অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন হঠাৎ আবেগে ভেসে। তবে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক বলছেন, 'ট্যাকটিক্যালি গৌতি অনেক ভালো কোচ। কিন্তু ম্যান ম্যানেজমেন্টের জায়গাটা হয়তো ও নিজেও বুঝে নিচ্ছে। ও খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ায়, এটা অনেক বড় ব্যাপার। তবে খেলোয়াড় থাকাকালীন তার যে আগ্রাসন ছিল, কোচ হিসেবে সেটা একটু কম হওয়াই ভালো।'

গম্ভীরের সংবাদ সম্মেলনগুলোও অনেকেরই অপছন্দ। হেডিংলির হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছিলেন উত্তেজিত এবং রিশাভ পান্তের ইনিংস দুটি নিয়ে প্রশ্ন শুনে রেগে গিয়ে জবাব দেন।

সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার তো বলেই ফেলেছেন, 'গম্ভীরকে মিডিয়া থেকে দূরে রাখা উচিত,' বিশেষ করে যখন অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে রিকি পন্টিংকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গম্ভীর। সেই সফরে ভারত ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

2h ago