পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থার

হরমুজ প্রণালিতে তেলের ট্যাংকার। ফাইল ছবি: রয়টার্স
হরমুজ প্রণালিতে তেলের ট্যাংকার। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিন পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর আগেই 'বিশ্ব জ্বালানির লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করছিল দেশটির নেতৃবৃন্দ। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল।

আজ রোববার ইরানের প্রেস টিভির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও জেরুজালেম পোস্টসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

ইতোমধ্যে ইরানের পার্লামেন্টে এ বিষয়ে তোলা একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহের জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি দিয়ে সারা পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল পারাপার হয়। পশ্চিমা বিশ্বের চাপ সামলাতে বেশ কিছুদিন ধরেই এই প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান। পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের রাতভর হামলায় বিষয়টি আরও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরানের জন্য।

পার্লামেন্টে বিল পাসের বিষয়ে জানা গেলেও এখনো আসেনি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যার ফলে, এখনো প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।

পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনের সদস্য ইসমাইল কোসারির বরাত দিয়ে ইরানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, 'আপাতত, পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত এটাই যে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা উচিত। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের।'

কোসারির অন্য পরিচয়, তিনি দেশটির বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিপ্লবী রক্ষীদলের (আইআরজিসি) অন্যতম কমান্ডার। রোববার দিনের শুরুতে ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবকে তিনি জানান, হরমুজ প্রণালি বন্ধ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং 'যা প্রয়োজন, তাই করা হবে।'

তেহরানের এই প্রণালি বন্ধ করা উচিত হবে কী না, এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার তিনি বলেন, 'ইরানের হাতে বেশ কিছু বিকল্প আছে।'

মানচিত্রে হরমুজ প্রণালি। ছবি: রয়টার্স
মানচিত্রে হরমুজ প্রণালি। ছবি: রয়টার্স

ওমান ও ইরানের মাঝে ওই প্রণালির অবস্থান। এর মাধ্যমে ইরানের উত্তরের মধ্যপ্রাচ্য উপসাগরের সঙ্গে দক্ষিণের ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

ইরানসহ সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও বাহরাইনের মতো প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের পণ্য এই পথ দিয়েই রপ্তানি করে।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

1h ago