‘পুরো বিশ্বাস আছে যে আমরা আগামীকাল জিততে পারব’

অনেকদিন পর দেশের ফুটবল নিয়ে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে মানুষের। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হলেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে হাইপ তুঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই সেই হাইপের পেছনে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহমিদুলদের মতন প্রবাসী খেলোয়াড়দের আগমন। এসব তারকাদের নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সেরা অবস্থায় থাকা বাংলাদেশ ঘরের মাঠে পেতে চায় পুরো তিন পয়েন্ট। কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা মনে করেন জেতার পুরো বিশ্বাস আছে তাদের।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে (আগের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই এই ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয় আলোচনা। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে অভিষেক হয়েছিলো হামজার। সেই ম্যাচ ড্র করে ফেরে বাংলাদেশ।

এবার হামজার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ফাহমিদুল ও শমিত। কানাডা জাতীয় দলে খেলা শমিত মাত্র কদিন আগেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়ে চলে এসেছেন খেলতে।

গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে কোচ কাবরেরা বলছেন প্রস্তুতির জন্য সময় কম পেলেও সেরা প্রস্তুতিই নিতে পেরেছেন তারা,  'প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। সময় কম ছিল, কিন্তু খুবই নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। আগামীকালকের ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা যে সকল দিক বিবেচনা করেছি, সেগুলোতে কাজ করা হয়েছে। ভুটানের বিপক্ষে একটি ভালো অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। অবশেষে আগামীকাল বড় ম্যাচ আসছে এবং আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।'

এশিয়ান কাপ বাছাইতে 'সি' গ্রুপে ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গী বাংলাদেশ। চারটি দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ ড্র করায় সবার পয়েন্ট সমান। বাছাইপর্বের সূচির সময় বাংলাদেশকেই গ্রুপে পিছিয়ে থাকা দল ধরা হচ্ছিলো। তবে তারকা খেলোয়াড়দের আগমন মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন পরের ধাপে যাওয়ার স্বপ্ন প্রবলভাবেই দেখছে। সেই স্বপ্ন পূরণে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরকে হারানো চাই। ক্যাবরেরা জানান সেটা তারা করতে পারবেন বলেই মনে হচ্ছে,  'আমার মনে হয় এটি একটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ হবে এবং সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের মূল লক্ষ্য অবশ্যই তিন পয়েন্ট অর্জন করা। কারণ শীর্ষ দলই কেবল যোগ্যতা অর্জন করবে। তাই এই গ্রুপের প্রতিটি ম্যাচই খুব তীব্র হবে বলে আমরা আশা করছি। আগেও যেমন বলেছি, আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এবং আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে আগামীকাল আমরা জিততে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago