ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তে কোরবানির চামড়া পাচার রোধে বিজিবির কঠোর নজরদারি

বিজিবির টহল। ছবি: স্টার

কোরবানি পরবর্তী সময়ে পশুর চামড়া ভারতে পাচার ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকাগুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও 'পুশ ইন' প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ বিজিবির ২৫ ও ৬০ ব্যাটালিয়ন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করেছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক।

বিজিবি কর্মকর্তারা সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং যেকোনো সন্দেহজনক বিষয় বিজিবিকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ফকিরমোড়া বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের (বিওপি) অধীন আনোয়ারপুর সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'ঈদের পর কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার, মাদক ও অন্যান্য চোরাচালান এবং বিএসএফের মাধ্যমে পুশ ইন রোধে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিজিবিকে কঠোর অবস্থানে রাখা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার, মাদক চোরাচালান কিংবা পুশ ইন ঘটতে দেওয়া হবে না।'

তিনি আরও জানান, স্থানীয় জনগণ ও বিজিবির সতর্কতার কারণে এখনো পর্যন্ত কোনো পুশ ইনের ঘটনা ঘটেনি। গত এক মাসে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রায় নয় কোটি ৩৬ লাখ টাকার মাদক ও অন্যান্য চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত তাদের ব্যাটালিয়ন প্রায় ৫৪ কোটি টাকা মূল্যের মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। এর মধ্যে মাদকের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলাগুলো ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্তের মধ্যে ৩১ কিলোমিটার ২৫ বিজিবির এবং বাকি ৪২ কিলোমিটার ৬০ বিজিবির আওতাধীন।

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago