লিটনকে বেশি রান করতে দিতে চায় না পাকিস্তান

ফাইল ছবি

লিটন কুমার দাসের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ফর্ম খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। পরিসংখ্যানও তার পক্ষে কথা বলছে না—৯৯ ম্যাচে ব্যাটিং গড় মাত্র ২২.৪১, স্ট্রাইক রেট ১২৪.৯২, আর ফিফটির সংখ্যা কেবল ১১টি। সবশেষ ২৭ ইনিংসে মাত্র একবার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন, আর সর্বশেষ নয় ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি।

তারপরও তাকে হালকাভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। বিশেষ করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা মনে করেন, লিটন দাস যথেষ্টই ভালো ব্যাটসম্যান। লাহোরে সিরিজ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ওদের অধিনায়ক লিটন দাস বেশ ভালো ব্যাটসম্যান। ও এমন একজন ক্রিকেটার, আমরা চাইব যাকে বেশি রান করতে না দিতে। অধিনায়ক যদি রান না করে, তাহলে ওদের মনোবল কমে যেতে পারে।'

তবে ব্যাটিং শৈলী, শটের পরিধি—সব মিলিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন লিটন। কিন্তু সমস্যা হলো, সেই 'দিনটি' বড়ই অনিয়মিত। তাই শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার কাছ থেকে কিছু দেখার আশায় যেমন আছেন ভক্তরা, তেমনি তাকে দ্রুত ফেরাতে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের পেস আক্রমণ নিয়েও যথেষ্ট সচেতন স্বাগতিকরা। যদিও সিরিজে নেই মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের মতো অভিজ্ঞ দুই পেসার, আর তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা ব্যক্তিগত কারণে সফরে যাননি। তবু এই বিভাগে বাংলাদেশের গভীরতা চোখে পড়েছে সালমানের।

'বাংলাদেশ এখন যেভাবে ক্রিকেট খেলছে, ওদের পেস আক্রমণ বেশ ভালো। আগে দেখা যেত, ওদের এক-আধজন ভালো পেসার। এখন ওদের তিন-চার বোলার আছে, যারা বেশ ভালো। কোনো এক বোলারকে আমরা টার্গেট বানাইনি। সবাইকে নিয়েই পরিকল্পনা করেছি,' বলেন সালমান।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে বাজেভাবে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতার অভাব বরাবরই ছিল। তবু বাংলাদেশকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন না সালমান, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সিরিজই সহজ নয়। বাংলাদেশ বেশ ভালো দল। আমাদের চেষ্টা থাকবে, যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলতে চাই, তা যেন খেলতে পারি এবং ভালোভাবে যেন সিরিজটা খেলতে পারি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলকে হারানোই সহজ নয়।'

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আজ বুধবার। বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মে ও ১ জুন। তিনটিই ম্যাচ হবে লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, ফ্লাডলাইটের আলোয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago