অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ইন্টারের কাউকে বদলাবেন না ইনজাগি

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেই লামিনে ইয়ামালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ইন্টার মিলান কোচ সিমোনে ইনজাগি। প্রথম লেগ শেষে তো বলেই দিয়েছিলেন ইয়ামালের মতো খেলোয়াড় ৫০ বছরে একবার জন্ম নেয়। অথচ দ্বিতীয় লেগ শেষেই বার্সেলোনার কোনো খেলোয়াড়কে নিজের দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বদল করবেন কি-না জানতে চাইলে সরাসরি নাকচ করে দেন এই ইতালিয়ান কোচ।

প্রথম লেগে রোমাঞ্চকর ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার পর অনেকেই ভাবেননি যে ফিরতি ম্যাচটা আরও বেশি নাটকীয় হতে পারে। কিন্তু সান সিরোতে দুই দল মিলে ১২০ মিনিট ধরে উপহার দিয়েছে আরও উত্তেজনাকর এক ম্যাচ, যেখানে ইন্টার শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে জয় পায়। সেই উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই শেষে ইনজাগি প্রতিপক্ষের প্রশংসা করলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন—নিজ দলের খেলোয়াড়দের তিনি বিশ্বের কারও সঙ্গে বদলাতে চান না।

ইনজাগি বলেন, 'প্রথমেই বার্সেলোনাকে অভিনন্দন জানাতে হবে—তারা এক দুর্দান্ত দল। আমাদের পক্ষ থেকেও ছিল অসাধারণ একটি পারফরম্যান্স। এই ছেলেদের জন্য করতালি প্রাপ্য। মাঠে তারা দুই দফায় যেন দানবীয় পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমি গর্বিত যে আমি এই দলের কোচ। তারা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে। এই সাফল্য তারা উপভোগ করারই যোগ্য।'

প্রথমার্ধে ইন্টার দুই গোলে এগিয়ে ছিল, কিন্তু বার্সা ফিরে এসে এক পর্যায়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তবে অতিরিক্ত সময়ে ফ্রানচেস্কো আচেরবি সমতা ফেরান, আর বদলি খেলোয়াড় দাভিদে ফ্রাত্তেসি জয়সূচক গোলটি করে পুরো সান সিরোকে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন।

'আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু মনের জোর দিয়ে আমরা সব বাধা পেরিয়ে গেছি। নিজেদের অস্ত্র ও গুণাবলী দিয়ে আমরা ম্যাচে লড়েছি। প্রথম লেগের পর থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু একসঙ্গে ত্যাগ ও সহযোগিতা ছাড়া এমন কিছু সম্ভব নয়,' বলেন এই ইতালিয়ান।

বার্সেলোনার তরুণ প্রতিভা ইয়ামালের কথা স্বীকার করলেও অন্য একজনকেও আলাদা করে প্রশংসা করেন তিনি, 'ইয়ামাল নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, তবে আমি আরও একজন অসাধারণ খেলোয়াড়কে দেখেছি—ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। তিনি যেন প্রতিটি বল পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ইয়ামালের মতোই প্রভাবশালী। তবে আমার দলকে আমি বিশ্বের কারও সঙ্গে বদলাবো না। ইয়ামালের বাইরে আরও অনেক দারুণ খেলোয়াড়কে দেখেছি আজ।'

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

18h ago