ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থার’। ছবি: এপি

কাশ্মীরে গত মাসের প্রাণঘাতী হামলার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। আজ শনিবার এই উত্তেজনার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। 

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, শনিবার ৪৫০ কিলোমিটার (২৭৯ মাইল) পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের 'সফল প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ' সম্পন্ন করেছে।

ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি 'আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থার'।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'এই উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও বাড়তি চালনক্ষমতাসহ কারিগরি বৈশিষ্ট্যগুলো যাচাই করা।'

তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি কোথায় উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, বিবৃতিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে নয়াদিল্লি। তবে এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি পাকিস্তানের, স্বাধীনভাবে এই হামলার তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।

পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে কাশ্মীর হামলার জবাব দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে 'পূর্ণ স্বাধীনতা' দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সিদ্ধান্তকে যুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। 

এ সপ্তাহে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়, যেকোনো সময় দেশটিতে বিমান হামলা চালাতে পারে ভারত। ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলেও জানায় পাকিস্তান।

কাশ্মীর নিয়ে একাধিক যুদ্ধে জড়ানো এই দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। 

চীন প্রতিবেশী এই দুই দেশকে 'সংযত' হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান পরিস্থিতি 'উদ্বেগজনক'।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতকে সম্ভাব্য আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ভারতকে এই আক্রমণের জবাব এমনভাবে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে 'আঞ্চলিকভাবে বড় সংঘর্ষ দেখা না দেয়।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago