আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এনসিপির সমাবেশ শুরু

গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, সমাবেশ মঞ্চে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম উপস্থিত আছেন। দলটির মহানগরের নেতারা বর্তমানে বক্তব্য রাখছেন।

এই সমাবেশের কারণে গুলিস্তান জিরোপয়েন্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। 

গতরাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে ছাত্র-জনতা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এ ছাড়াও, সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। 

এগুলো হলো- ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।

এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

8h ago