রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দিনে মুক্তি পেল ’একটি সূতার জবানবন্দী’

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৪ এপ্রিল দিনটি লেখা থাকবে কালো অধ্যায় হয়ে। ২০১৩ সালের এই দিনে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা নামের ভবনটি ধসে পড়ে। ওই দূর্ঘটনায় সেখানে থাকা গার্মেন্টসের ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পাশাপাশি আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।
অন্য সবার মতো ঘটনাটি নিয়ে মানসিক পীড়ায় ছিলেন নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। রানা প্লাজার ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেননি তিনি।
২০১৫ সালে নির্মাণ করেন 'একটি সূতার জবানবন্দী (টেস্টিমনি অব আ থ্রেড)' নামের চলচ্চিত্র। নির্মাতার ভাষ্যে, 'একজন নাগরিকের দায় থেকেই বানিয়েছি ছবিটি'।
রানা প্লাজা ধসের এক যুগ পর 'একটি সুতার জবানবন্দী' উন্মুক্ত হলো সব দর্শকদের জন্য।

২৪ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। নির্মাণের ১০ বছর পর ওটিটিতে মুক্তি পেল সিনেমাটি।
নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন বলেন, 'একটি সূতার জবানবন্দী' খুবই ডিমান্ডিং সিনেমা—সম্ভবত সময়ের আগেই নির্মিত। আমার প্রথম সিনেমা 'শুনতে কি পাও' এর ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটেছিল। নির্মাণের প্রায় দশ বছর পরে এসেছিল চরকিতে।
সাইমন বলেন, 'আমাদের প্রচলিত চলচ্চিত্র চর্চার সঙ্গে এই সিনেমাগুলার কোনো দেনা-পাওনা নাই। তার ওপর এতদিন সময়টা একদম অন্যরকম ছিল, "দায় আর দরদ" এর কোনো জায়গা ছিল না আমাদের সংস্কৃতি কারখানায়। এখন বরং পরিস্থিতিটা একরকম উল্টোদিকে যাচ্ছে, অনেকদিন পরে মানুষ একসঙ্গে পুরনো বন্দোবস্তগুলো বোঝার চেষ্টা করছে, নতুন করে রাস্তা খুঁজছে। তাই "একটি সূতার জবানবন্দীর" ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলা এখন খুবই প্রাসঙ্গিক, তর্কগুলা জারি রাখাও জরুরি।
'আবার এখনকার দর্শকও অনেক এক্সপোজড, তারা সারা দুনিয়ার ফিকশন, ননফিকশন, হাইব্রিড অনেক ধরনের কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত। তাই এখন জনপরিসরে মুক্তির চিন্তা', যোগ করেন তিনি।
Comments