আসছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সাধারণত প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও আগামী বাজেট হবে আগের বছরের মূল বাজেটের তুলনায় সামান্য কম। আগামী বাজেটের আকার হবে প্রায় সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

অন্তর্বর্তী সরকার নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য ছয় শতাংশ উচ্চাভিলাষী জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে।

আগামী অর্থবছরে জিডিপি হতে পারে সাড়ে পাঁচ শতাংশ।

বিদেশি ঋণদাতারা জিডিপি কমানোর পর সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন, গত সপ্তাহে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছিল যে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এর আগে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা দক্ষিণ এশিয়ার গড়ের তুলনায় বাংলাদেশে ছয় শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে কোনো অবস্থায় অনেক বেশি।

মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে রাজস্ব সমন্বয় পরিষদের বৈঠকে নতুন জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি ও আগামী বাজেটের আকার নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা যায়, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যেই আমরা জিডিপির হার কম রাখছি।'

আসন্ন বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছয় শতাংশ নির্ধারণ করবে। এডিবি আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি আট শতাংশের আশেপাশে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আট শতাংশ। এডিবির প্রাক্কলন ছিল ১০ দশমিক দুই শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মার্চে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগের মাসে ছিল নয় দশমিক ৩২ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি কমাতে অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে বাজেট ছোট রাখা হচ্ছে।

চলমান অর্থনৈতিক মন্দার ফলে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় ঘাটতি বাড়লে সরকারকে স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। এটি মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার নিচে থাকলে সাড়ে ছয় শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি এমনটি থাকবে বলে মনে করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

মোট বরাদ্দের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার হবে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধন করে দুই লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Mahdi Amin, adviser to BNP acting chairperson Tarique Rahman

‘BNP’s 31-point charter embodies public will’

Mahdi Amin, adviser to BNP acting chairperson Tarique Rahman, speaks to The Daily Star

10h ago