নরসিংদীতে ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা সুপারকে পেটানোর অভিযোগ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নরসিংদীর মনোহরদীতে মাদ্রাসা সুপারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার তিন প্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

উপজেলার পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার হাদিউল ইসলাম স্থানীয় তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন—মনোহরদী সরদার আছমত আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ, মনোহরদী সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক খলিলুর রহমান ও মনোহরদী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক লুৎফুর রহমান। 

লিখিত অভিযোগের বরাতে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জব্বার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোববার বিকেলে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নীচে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান) হাদিউল ইসলামকে পেটান ওই তিন শিক্ষক। 

অভিযোগে বলা হয়, সরকার সম্প্রতি সব মাদ্রাসায় আগের সব অ্যাডহক কমিটি বাতিল ঘোষণা করলে, মাদ্রাসাটি নতুন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করার জন্য এলাকার সবাইকে জানায়। এরপর মনোহরদী সরদার আছমত আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ সরকারি বিধির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হতে চান। 

গত ১০ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য মাদ্রাসায় সভার আহ্বান করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। 

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৩ এপ্রিল রোববার বিকেল ৩টার দিকে মাদ্রাসা সুপার হাদিউল ইসলাম মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। 

তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচনের কথা বললে, অভিযুক্ত শিক্ষকরা তাকে গালমন্দ করেন। পরে ফরহাদ হোসেন মুরাদের নেতৃত্বে খলিলুর রহমান ও লুৎফুর রহমান তাকে মারধর করেন।

উপস্থিত লোকজন মাদ্রাসা সুপারকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যান। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরদী আসমত আলী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগগুলো মিথ্যা। মাদ্রাসার সুপার হাদিউল ইসলাম আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও মাসুদুর রহমানকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করতে চান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি তাকে মারধর করিনি।'

এ বিষয়ে ওসি আব্দুল জব্বার বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। 
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জানতে চাইলে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাইমিন আল জিহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে কি না, জানি না। মারধরের বিষয়ে আমি অবগত নই। আগামীকাল কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি দেখে কমিটি গঠনের বিষয়ে সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Hasnat Abdullah calls for rally to ban Awami League

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

1h ago