আইপিএলে আনকোরা অনিকেতের উঠে আসার গল্প

ট্রেভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ইশান কিশানদের মতন বাঘা বাঘা ব্যাটাররা যেখানে খাবি খেয়েছেন, সেই পিচেই একদম অন্যরকম দেখালো একজনের ব্যাটিং। ২৩ পেরুনো তরুণ অনিকেত বর্মা প্রবল চাপে স্রোতের বিপরীতে তুললেন ঝড়। দল না জিতলেও টানা দুই ম্যাচে নিজেকে চিনিয়ে ফেলেছেন তিনি।
অথচ গত বছরও তিনি ছিলেন মূল স্রোত থেকে বেশ দূরে। মধ্য প্রদেশের ভোলালে বাড়ি তার। স্থানীয় টি-টোয়েন্টি আসর মধ্য প্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে ভোপাল লিওপার্ডসের হয়ে ৬ ম্যাচে ২৭৩ রান করেন ২৫ ছক্কায়। টি-টোয়েন্টির স্বীকৃতি না থাকা সেই আসরেও প্রতিভা খুঁজতে লোক পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের স্কাউট দল তাকে সেখান থেকেই নজরে নিয়ে আসে।
স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলের নিলামে ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিয়ে নেয় সানরাইজার্স। অনুশীলনেও নজর কেড়ে আইপিএলে নিয়মিত একাদশে জায়গা পান, সেই জায়গা তিন ম্যাচেই করে ফেলেছেন থিতু।
প্রথম ম্যাচে নামার সুযোগ পান একদম শেষ দিকে। পরের দুই ম্যাচে আলো কাড়েন। ৩ ম্যাচে ৩৯ গড়ে ১১৭ রান করেছেন ২০৫.২৬ স্ট্রাইকরেটে। এরমধ্যেই মেরেছেন ১২ ছক্কা।রোববার বিশাখাপত্তমে পান স্বীকৃত ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪১ বলে ৬ ছক্কায় অনিকেত করেন ৭৪ রান।এবার আইপিএলে অনিকেত ঝলক সামনে হয়ত আরও দেখা যাবে। ভারতের বিপুল তরুণ প্রতিভার মধ্যে তিনিই হবেন নতুন সংযোজন।
অনিকেত ছোটবেলায় মাকে হারান, সংসার ছিলো অনটনের। তবে ক্রিকেটের পোকা তাকে তাতিয়ে রাখে শুরু থেকে। চাচা অমিত বর্মার সাহায্যে ১০ বছরে ভর্তি হন অঙ্কুর ক্রিকেট একাডেমিতে। ১৩ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যেতেন একাডেমিতে। নিবিড়ভাবে লেগে থাকা তাকে তুলে আনে বড় জায়গায়।
মধ্য প্রদেশ প্রিমিয়ার লিগে আলো কেড়ে মধ্য প্রদেশ রাজ্য দলের হয়ে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে অভিষেক তার। তবে সেখানে খেলেন কেবল এক ম্যাচ। তার দ্বিতীয় স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিই আইপিএলের মঞ্চে। বড় মঞ্চে বড় ছক্কায় নিজেকে প্রমাণ করছেন এই তরুণ।
Comments