নোয়াখালীতে মা ও নবজাতকের মৃত্যুতে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়, রুল

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলা ও অপচিকিৎসায় মা উম্মে সালমা নিশি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ নার্সিং মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ, নোয়াখালী মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) একজন জুনিয়র লেকচারার, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট জাহিদ হোসেন ও সাউথ বাংলা হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ সজীব উদ্দিন হৃদয়কে এই রুলের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

সাংবাদিক ও উম্মে সালমা নিশির বাবা এমএ আউয়ালের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. সোলায়মান তুষার জানান, গত বছরের ১৬ অক্টোবর সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথ বাংলা হাসপাতালে যান। ওই দিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মরত মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন, ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদের সহায়তায় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে, রোগীর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তড়িঘড়ি করে সিজার করেন।

এতে ঘটনাস্থলেই মা ও শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে কুমিল্লায় রেফার করেন। তারা বলেন, রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট দরকার। পরে উম্মে সালমা নিশিকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা ও মা। তখন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন।

এই আইনজীবী বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের অবহেলা ও অপচিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। যা সংবিধানের ১৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এর দায় তারা এড়াতে পারে না।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

12h ago