আনিসুলের ২৭ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪০ কোটি টাকা, অবরুদ্ধের আদেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার সহযোগীদের ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এই ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪০ কোটি ১৭ লাখ আট হাজার ৫০ টাকা রেখেছেন তিনি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম।
আবেদনপত্রে দুদক উল্লেখ করেছে, তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং অসৎ উপায়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদ নিজের ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে অর্জন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন।
আনিসুল হকের নিজের ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা করেছেন। এছাড়া এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ১৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি।
'বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, আনিসুল হক অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তর, হস্তান্তর বা অপব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। যে কারণে তার অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করতে আদালতের আদেশ প্রয়োজন,' আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত বছরের ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় ২০ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলায় বিভিন্ন রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Comments