ইবির বাস উল্টে ধানখেতে, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা অর্ধশত শিক্ষার্থীর

সড়কের পাশে ধানখেতে উল্টে পড়ে আছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস সড়কের পাশে ধানখেতে উল্টে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ইবির নিজস্ব চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারীরা বলেন, বাসটি ধানখেতের নরম মাটিতে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। পুকুর, ডোবা কিংবা শুষ্ক মাটি হলে হতাহতের সংখ্যা বেশি হতে পারত।

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে বিত্তিপাড়ার আগে বাসটি উল্টে ফাঁকা মাঠে গিয়ে পড়ে।

বাসটি বামপাশ দিয়ে যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ডানপাশে কীভাবে গিয়ে পড়ল? জানতে চাইলে একজন আহত শিক্ষার্থী বলেন, বাসটি অন্য একটি বাসকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।

তবে পাশেই ধানক্ষেতে কর্মরত জলিল বলছিলেন, বাসটি ফাঁকা সড়কে দ্রুতগতিতে এসে ধানখেতে পড়ে যায়। চালক সম্ভবত আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আহতদের চিকিৎসায় ব্যস্ত ইবির চিকিৎসাকেন্দ্রের চিফ মেডিক্যাল অফিসার সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, একজনের আঘাত কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি ঝুঁকিমুক্ত। বেশ কয়েকজনের এখানে চিকিৎসা চলছে।

তবে, আহতদের সংখ্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি তিনি।

চৌরহাস হাইওয়ে থানার ওসি আল মামুন বলেন, সেখানে পুলিশের ইমার্জেন্সি টিম পাঠানো হয়েছে। হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮-৯ জন। আমাদের ক্যাম্পাসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ১২-১৩ জনের মতো। সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ এর মতো।

তিনি বলেন, আহতদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago